Ad Code

সেইতো এলে

লেখিকাঃ আশা রোজমেরি

শুনেন মা, আপনার ছেলেরে তো বিয়ে করালেন অল্প বয়সি মেয়ে দেখে।সবে এসএসসি দিয়েছিলাম।রেজাল্ট ও বের হলো না।পড়াবেন বলে আর পড়ালেন না।মা বলেছিলো, এনগেজমেন্ট করিয়ে রাখতে।ইন্টারটা কমপ্লিট হলে বিয়ে।আপনারা বললেন, বিয়ের জন্য অল্প বয়সি মেয়েই ভালো।পড়াশুনা বিয়ের পরেও করা যাবে।এখন যে নিজের মেয়ের বয়স ২৫ পেরিয়ে গেছে সে খেয়াল আছে।নাকি এ বাড়িতেই বুড়ো করবেন।বিয়ের পর এসে দেখলাম মেহুল আমার বড়, এইসএসসি দিবে।তারপর আবার দুই ছেলে মেয়ে হলো।কিন্তু ওর বিয়ের খবর নেই।আমার ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যত কি? মেহুল এর জন্য তো কম টাকা খরচা হচ্ছেনা আপনার ছেলের।

Facebook

অনেক কথাই সহ্য করে নেন আয়েশা বেগম।কিন্তু আজকের লাস্ট কথা টুকু আর সহ্য করা গেলোনা।তিনি কেঁদে ফেললেন।
--আমার মেয়ে তো একদম বসে বসে খায়না।ভার্সিটি শেষ করে টিউশন করায়।নিজের টুকু নিজে চালিয়ে নেয়।আমাদের জন্য ঔষধ পত্র কেনার ভারটা ওর উপরই।আমার মেহুলকে নিয়ে তোমার কিসের সমস্যা বউ মা? এ বাড়িতে থাকে, খায় বলে? এটা নিয়ে তোমার সমস্যা হলে কান খুলে শুনে রাখো।রাহুলকে আমি জন্ম দিয়েছি।আমার অধিকার আছে আমার ছেলের উপর।রাহুল, মেহুল এর ভাই।ভাই এর রোজগারে এক মুঠো ভাত খেতে না পারলে, সেটা কিসের ভাই।জানি এই কথা গুলো রাহুলের কানে যাবে।তাও আজ না বলে পারলাম না।দরকার হলে এই বয়সে বাডি ছেড়ে চলে যাবো মেহুলকে নিয়ে।রাহুল এর বাবা সুস্থ থাকলে আজকে পরের মেয়ের কথা শুনা লাগতো না।
রাতে রাহুল বাসায় ফিরলে খাবার টেবিলে এই নিয়ে কথা উঠে।রাহুল উভয় দিক বিবেচনা করে জানায়,
---"আজ অফিসের স্যার একটা ছেলের কথা বললেন।আমি ভালো মন্দ কিছু বলিনি।তবে এখন মনে হচ্ছে সংসারের ভালোর জন্য মেহুল এর বিয়ে নিয়ে ভাবা উচিত।কাল তাহলে আসতে বলে দিবো"।
মেহুল রাতে খায়নি।সে বাসায় ছিলো বলে সব কথাই শুনেছে।
--"বাবা তুমি কেনো অসুস্থ হলে।একদম প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পরলে।আমার স্বপ্ন টুকু ওখানেই থেমে গেলো।প্রিয় মানুষের জন্য অপেক্ষাটাও কঠিন হয়ে গেলো। "
ডায়েরির বুক খানা বিষাদ শব্দরা দখল করে নেয়।আজও কিছু শব্দরা এসেছে।মেহুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে লিখতে বসেছে,
জানো, মন খারাপ হলে ভাবনা থামিয়ে দেই ক্ষনিকের জন্য।কিন্তু জীবন তো থেমে থাকেনা।সুখ,বিরহ,বেদনা সব কিছুকে পেছনে ফেলে জীবন এগিয়ে চলে।জীবন কেবল অপেক্ষা টুকু রেখে যায়।অপেক্ষা টুকু কেন্দ্র করেই মানুষ বেঁচে থাকে।মেয়েরা মা'এর জাত।সহজে মায়া কাটাতে পারেনা।আমিও পারছিনা বলেই,তোমার উপেক্ষাকেও ভালবাসি।আর এই ভালবাসার নাম অপেক্ষা।অনেক লড়াই করেছি।বয়স বাড়াচ্ছি।শুধু এক তুমির অপেক্ষায়।জানিনা আর পারবো কিনা।যদি অভিমান ফেলে কখনো ফিরে এসে দেখো, আমি আর তোমার নেই।তাহলে ক্ষমা করে দিও।
তোমার মেহুল
রাতের বুকে ঘুম নেমেছে।কিন্তু এই শহরের বুকে হাজারো মেহুলের চোখে ঘুম নামেনি।মেহুল,বেলকনির গ্রীলে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মন খারাপের মনে, অতীত স্মৃতি নাড়া দেয়।
অতীত
ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।কলেজ থেকে ফিরার পথে বৃষ্টিতে গা বাঁচাতে কাছের রেস্টুরেন্টে ঢুকে পরে,মেহুল।আচমকা চোখ যায় একটা টেবিলে।একটা ছোট্ট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসে আছে সুদর্শন একটা ছেলে।বয়স বেশি হলে ২৫/২৬ হবে।সম্পর্কে বাবা নাকি মামা বুঝা মুশকিল।বাচ্চাটাকে সামলাতে পারছিলো না।অনবরত কেঁদে চলছিলো।মেহুল সন্তর্পণে এগিয়ে যায়।কিছু না বলেই হাত বাড়িয়ে দেয়।বাবুটাকে কোলে দিতেই মায়ের মমতায় আঁকড়ে ধরলো।কোলে নিয়ে দোলাতে লাগলো।কি হয়েছে বাবু, এতো কাঁদছো কেনো? তোমাকে কে মেরেছে।আমি তাকে খুব মেরে দিবো।ধীরে ধীরে কান্না থেমে এলো।তারপর মেহুলের কোলেই ঘুমিয়ে গেলো।তার মধ্যেই ছেলেটা একটু এগিয়ে এসে বললো,
--আমি জিসান।আর আপনি?
--মেহুল মেহু
--থ্যাংস,বাচ্চাটাকে শান্ত করানোর জন্য।এবার আমাকে যেতে হবে।ঘুমিয়ে গিয়েছে নিতে প্রব্লেম হবে না।
সেদিন বাসায় ফিরে বার বার বাবুটার মুখটা মনে পরেছে।নামটাও জানা হলোনা।ওর মা কোথায়? তারপর দিন পেরিয়ে রাত।অনলাইন যেতেই একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট "মাহিদের বাবা"।খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো ওর।রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে নিলো।একসেপ্ট করতেই মেসেজ এলো,
--আপনি কি যাদু জানেন?
--কে আপনি?
--মাহিদের বাবা
--মাহিদ কে?
--আজকে রেস্টুরেন্টে যে বাবুটাকে আপনি কোলে নিয়ে মায়ের মমতায় জড়ালেন।পাশে থাকা আমি সেই বড় বাবুটা।
মেহুলের খুব হাসি পেলো।রিপ্লাই করলো,
--আপনি বাবু? হাস্যকর।যাই হোক,আমাকে নক করেছেন কেনো?
--কান্না থামাতে পারছিনা তাই।কিভাবে কান্না থামাতে হয় সাজেস্ট করুন তো?
---কোলে নিয়ে দোলাতে থাকেন।কথা বলেন।ফিডার করে খাওয়াতে পারেন।
কথা বলতে বলতে জানতে পারে মাহিদ জন্মাবার সময় ওর মা মা*রা যায়।মেহুল এর খুব মায়া হলো।যেহেতু "মাহিদের বাবা" আইডি নেম।তাই জন্য আর খুব করে জানতে চাওয়া হয়নি জিসান আসলেই মাহিদ এর বাবা কিনা।এটা জানতে চাওয়া মানে আরো কষ্ট দেওয়া।দিন দিন কথারা বাড়তে বাড়তে দেখা করা শুরু হলো রেস্টুরেন্টে,পার্কে তারপর বাসায়।মাহিদ, মেহুল এর যত্নে বেড়ে উঠতে লাগলো।জিসান এর ব্যবহার ও ভালবাসার কথা বলে।তারপর একদিন ওরা খোলাখুলি ভাবে ভালবাসাকে ছুঁয়ে দিলো।
এভাবে রোজ রোজ কলেজ মিস করে বাসায় যাওয়া তো সম্ভব না।তাই ওরা সিদ্ধান্ত নিলো বিয়ে করে নেবার।যথারীতি মেহুলের বাসায় এলো।পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলো।কোলে ছোট বাচ্চা সাথে মা-বাবা পরিবারের কেউ নেই।তাই দেখে রাহুল, জিজ্ঞেস করলো,
--আপনার পরিবারের লোক আসলোনা।শুধু একটা বাচ্চাকে নিয়ে এলেন।আপনি কি ওর বাবা নাকি?
জিসান বললো,
--হ্যা আমিই ওর বাবা।আমার..
পুরো কথা বলতে না দিয়েই রত্না রেগে কথা বলা শুরু করলো।বিবাহিত লোকের কাছে আমার ননদকে বিয়ে দিবো এটা ভাবলেন কি করে।কতো বড় সাহসে এ বাড়িতে বিয়ের সমন্ধ নিয়ে আসলেন।ফিরে যান।এক মূহুর্ত দেরি করলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করতে পিছপা হবোনা।
তারপর মেহুলের দিকে এক পলক তাকিয়ে অপমান এর বোঝা কাঁধে নিয়ে জিসান চলে যায়....
রুমে হঠাৎ আলো ছড়িয়ে পরলো।সেই আলোতে অতিতের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাবনা গুলো আত*ঙ্কে মুখ লুকিয়ে নিলো।মেহুল দেখলো বারান্দার দরজায় মা দাঁড়িয়ে।আয়েশা বেগম মেয়েকে বুকে আগলে হু হু কেঁদে উঠলেন।একটু সময় অতিক্রান্ত করে, ধাতস্থ হয়ে শুকনো গলায় বললেন,
--মা'রে তোর জন্য চেস্টা তো কম করলাম না।ইসলামের শরিয়তে পুরুষের চার বিয়ের বিধান আছে।জিসান আগে একটা বিয়ে করেছে,একটা ছেলে আছে।আমি সেদিন মানতে পারিনি তৎক্ষনাৎ।মায়ের মন তো, বল।কিন্তু পরে বিবেক দিয়ে যখন ভেবেছি, তখন একটাই উত্তর পেয়েছিলাম, "কতো মানুষ বিয়ের আগে কতো কি করে বসে।যেখানে ধর্মীয় বিধান মানেনা।তারাও তো সংসার করে এক সময়।সেখানে জিসান যদি বিবাহিত হয় সমস্যা কি।আর একসাথে থাকতে চাওয়ার ইচ্ছে টুকুই বড়"।সেদিন আমি তোকে অনুমতি দিয়েছিলাম অপেক্ষা করার।কিন্তু মা, আর কতো।বাইরের লোকের,ঘরের লোকের কথা।দেখ,আল্লাহ যা করবে ভালোর জন্যই করবে।একটু খেয়ে নে এবার।আমার হাতে খাইয়ে দিবো।তোর বাবা তোর জন্য খায়নি এখনো।মানুষ অজান্তে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে, নিজের অসুস্থতাকে দা*য়ী করে।
মেহুল আর না করতে পারলো না।আয়েশা বেগম নিজ হাতে পরম স্নেহ ভরে,মমতায় মাখা হাতে খাইয়ে দিলেন।তারপর ঘুমাতে বলে নিজের রুমে গেলেন।গিয়ে দেখেন হাবিবুর রহমান উঠার চেস্টা করছে।
--কি হয়েছে, পরে যাবেন তো
তিনি কান্নায় আচ্ছন্ন গলায় বললেন,
--আমার মা,য় খাইছে? মেহুল জন্মের পর আমার মা'কে ফিরে পেয়েছিলাম।আমার মা'রে বুঝের বয়সের পর তো আর দেখি নাই।
--শান্ত হোন আপনে।মেহুল খেয়েছে।এখন আপনি খাবেন।ঔষধ খেতে হবে।
রাতের আয়োজন শেষ করে ঘুমকে আলিঙ্গন করেছে সবাই।মেহুল হয়তো জেগে।কাল তার অপেক্ষা শেষ অন্য কারো আগমনে।তার অপেক্ষা তো শেষ হবার কথা ছিলো অন্য ভাবে।
ভোরের আলো ফুটেছে।বাসায় তোড়জোড় চলছে কাজের,সাজসজ্জার।আজকে রন্তার ব্যবহার বেশ মার্জিত।আপদ বিদায় হচ্ছে বলে কথা।মেহুলের বাবা হুইল চেয়ারে বসা।বাম হাত,বা নাড়াতে পারেন না।কিন্তু শরীরের ভারসাম্য থাকাতে সারাক্ষন শুয়ে কাটাতে হয়না।চারদিক দেখছেন।মেঘ আর বর্ষা দাদাভাইকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এটা ওটা দেখাচ্ছে।ফুপির বিয়ে হবে সেই খুশিতে।
লোকজন দুপুরের আসবে।এখানেই খাওয়া দাওয়া হবে।উভয় দিক থেকে পছন্দ হলে আজই রেজিষ্ট্রেশন করে রাখবে।মেহুলকে, রত্না শাড়ি পরিয়ে সাজাচ্ছে।
--শুন কাঁদলে সাজ নষ্ট হবে।এছাড়াও বয়স তো খারাপও হয় নাই।
"মেহুল কষ্ট গুলোকে লাগাম টানে।আজকের জেনারেশনে চব্বিশ/পঁচিশ বয়সটা তেমন কিছু নয়।ভাবি তো আগের মানুষ নয়।আমারও ছোট।তাহলে কেনো সেকেলে চিন্তা ভাবনা।নাকি এটা শুধু আমার জন্যই? প্রশ্নটা ভাবনাতেই শোভা পেলো।"
কালো শাড়িতে মেহুল নিজেকে মুড়িয়েছে।শুভ দিনে কালো রঙ।বড্ড বেমানান হয়তো।কিন্তু জিসান এর তো কালো রং টাই পছন্দ।জিসান এর বয়স বেড়েছে।জানিনা কেমন দেখতে হয়েছে।আর মাহিদ কতোটা বড় হয়েছে।আমাকে দেখলে কি চিনবে ও।আর মাম্মাম বলে ডাকবে!
নিচে খাওয়ার পালা চলছে।খাওয়া শেষে কথা বার্তা চলছে।তাদের সব কিছুই পছন্দ হয়েছে।মেয়ের ছবি আগেই দেখেছিলো।ভালো লাগার কারনেই এতোটা এগিয়েছে।এখন সামনে থেকে চক্ষু সার্থক করা বাকি।ছেলে বেশ স্মার্ট।নিজেদের কোম্পানি রয়েছে।তার নির্দেশে হাজার এমপ্লয়ি মাথা নত করে।কোনো দিক থেকেই ছেলে ফেলনা নয়।তারা যে মেহুলকে পছন্দ করেছে,এটা মেহুলের খুব ভাগ্য।মেঘ,বর্ষা হবু বর এর কোল ঘেঁষে বসেছে।
মেহুলদের পুরনো দিনের দোতলা বাড়ি।দাদার করা।উপরের ঘর থেকে রন্তা মেহুলকে নিচে নিয়ে আসছে।মেহুল গুঁটি গুঁটি পায়ে নিজের সাজানো স্বপ্ন মাড়িয়ে আসছে।বুক কাপছে।কষ্টরা হানা দিচ্ছে।অতীতের মায়া বার বার পা টেনে পেছাতে চাচ্ছে।
মেহুল গিয়ে সবাইকে সালাম দিলো।সবাই নিজের মতো করে সালামের উত্তর নিলো।কিন্তু আরেকজনও সালামের উত্তর নিলো।সবাই দরজার দিকে তাকালো।সাত/আট বছরের একটা বাচ্চা দৌঁড়ে মেহুলকে জড়িয়ে নিলো।মাম্মাম!
"মেহুল শব্দ করে কঁদে ফেললো।আমার মিহাদ।আদরে মুখ ভরিয়ে দিলো।তারপর দরজার পানে তাকিয়ে সেই প্রিয় মুখ।"
সবাই উঠে দাঁড়ালো।এসব কি হচ্ছে।মাম্মাম,ছেলে। আপনার মেয়ের কি আগে সংসার ছিলো?
সকলের উত্তর স্বরুপ হাবিবুর রহমান কথা বললেন,
--আপনাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।আপনারা সবাই সবটা জানবেন।কিন্তু এখন অতো সময় নেই।শুধু বললো বাবা হয়ে মেয়ের সুখ টুকু এনে দিলাম আমি।আমি আমার পুরনো বন্ধুর মাধ্যমে কাল রাতে জিসান এর সাথে কথা বলি।জানাই সবটা।জিসান ভালো -মন্দ কিছু বলেনি।তাই ভেবেই নিয়েছিলাম আসবে না।জানলে আপনাদের জানিয়ে দিতাম।আমার এই অপারগতার জন্য মার্জনা করবেন।
প্রস্তুত হয়ে সবাই চলে গেলো।রত্না,রাহুল বললো, "আপনারা যদি বয়স্ক, একটা বড় ছেলে সমেত মেয়েকে সংসারে পাঠাতে পারেন।আমাদের আপত্তি নেই।
রাহুল কথা বলে উঠলো,
--প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আমাকে সেদিন পুরো কথা বলতেই দিলেন না।আজ বলছি।মাহিদ আমার ভাইয়ের ছেলে।একটা এক্সি*ডেন্টে আমার পুরো পরিবার শেষ।আমি মাহিদকে নিয়ে বাসায় ছিলাম।আমি সবার সাথে বেরোবো না বলে,একাকিত্ব কাটানোর জন্য মাহিদকে রেখে দিয়েছিলাম।কিন্ত,ম্যারেড ভেবেও মেহুল আমাকে ভালবেসেছে।এতেই বুঝেছিলাম আমাকে কতোটা ভালবাসে।তাই আর বলিনি।ভেবেছিলাম বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেই সারপ্রাইজ দিবো।কিন্তু আমি নিজেই সারপ্রাইজ পেয়ে গিয়েছলাম।
রাহুল,রত্না মাথা নোয়ালেন।তারপর সবাই দুঃখ প্রকাশ করলো।রাহুল, জিসানকে জড়িয়ে পিঠ চাপড়ে দিলো।মাহিদকে আয়েশা বেগম কাছে টালনেন।আসো ভাই নানুর কাছে।
হাবিবুর রহমান বললেন, " কাল মেহুলের বিয়ের ব্যবস্থা করবি রাহুল? এটাই আমার শেষ ইচ্ছে।"
হুইল চেয়ারে অবস্থানরত বাবাকে, রাহুল পেছন থেকে আঁকড়ে ধরলো।শেষ ইচ্ছে নয় বাবা।তোমার ইচ্ছের শুরু।
শেষ বিকেল ফুরিয়ে সন্ধ্যার ঘনঘটা।বারান্দায় পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে মেহুল অভিমানে কাঁদছে।মেহুলকে নিজের দিকে ফিরালো, জিসান।তারপর মেহুলের কপালে কপাল ঠেকিয়ে সেও কান্নায় সামিল হলো।মেহুল ভেঁজা গলায় অভিমানীনি হয়ে বললো "সেইতো এলে"!
জিসান, মেহুলের চিবুক ধরে মুখটা নিজের দিকে করে বললো,
"সন্ধিহান চোখে-
কাজল চোখের মাঝে, আবেশে চেয়ে রবো খুব,
মায়াতরী ডুবিয়ে, দিবো অতল "প্রণয়ে ডুব"!!



Post a Comment

0 Comments

Close Menu