লেখিকাঃ আশা রোজমেরি
ভারাক্রান্ত মনে হাইওয়েতে হাইস্পিডে গাড়িটা চলছে।"ভালবাসার অস্তিত্ব এতো বিষাদ কেনো।কেনো এক জনের ভালবাসার খামতিতে অন্য জন ধুঁকে ধুঁকে ম*রে।"
এতো অভিযোগের উত্তর, কেবলই দীর্ঘশ্বাস।
যন্ত্রনায় চোখে ইলশেগুঁড়ির ভিড়।ঝাপসা হয়ে এসেছে চোখের কিনার।স্পীড কমিয়ে চশমাটা খুলে,চোখ জোড়া মুছে নিলো, আবি।তারপর আবার চললো ফুল স্পীডে।এসে থামলো ব্রিজের কাছে।ঘড়ির কাঁ*টা বেড়ে চলার সাথে সাথে,আধারের আয়োজন ও তিব্র হয়েছে।রাস্তার পাশ ঘেঁষে একটু পর পর ল্যাম্পপোস্টে সোডিয়াম এর আলো চোখে বিঁ*ধছে।বিষাদ বেলায় হয়তো কিঞ্চিৎ আলোর ঝলকানিকেও রোশনাই এর আয়োজন মনে হয়।বড্ড খারাপ লাগে সে আলোটুকু।অবহেলা করার আপ্রান চেস্টা করে আবি।
সহসাই,গাড়ি থেকে নেমে ব্রিজের পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সিগা*রেট ধরালো।বিদ্রুপ হেসে বললো, "তোর ধোঁয়ায় দুঃখ উড়াই।" কয়েকবার টান দিতেই নজরে এলো, একটি মেয়ের আবছায়া।
-কি ব্যাপার, রেলিং এর উপর দাঁড়িয়ে পানির হিসেব কষছেন নাকি? আচ্ছা কতো পরিমান পানি হতে পারে?
কর্ন কুহরে ভেসে গেলো,এক অচেনা আগন্তুকের কথা।রাত ১২টা ছুঁইছুঁই,তাও সামিরার বুক ধ্বক করে উঠলোনা।মৃ*ত্যু যার লক্ষ্য, তার আর কিসের ভয়।মৃ*ত্যু ভয় এর থেকে বড় ভয় আর কি হতে পারে।সে ফিরেও তাকালো না।তার দৃষ্টি ব্রিজের নিচে পানির দিকে।পানি তাকে ডাকছে, বুকে জড়িয়ে নিতে।নদীর অতলে ডুবে যাবে, তারপর ম*রে ভেসে উঠবে।পানির বুক জুড়ে এদিক-ওদিক ঘুরবে।
-আপনি দেখছি ভিতুর ডিম।রাতের আঁধারে অগোচরে মৃ*ত্যুকে আপন করে নিতে চাচ্ছেন।
তাও কোনো রিয়েকশান পাওয়া গেলোনা।আবি এবার খোলাখুলি ডাকলো,
-কি হলো শুনছেন? ম*র*তে হয় লোক সমাগমের মাঝে।তাও অন্তিম সময়ে মানুষ জানবে আপনার নিজস্ব কিছু দুঃখ ছিলো।
-ম*র*বেন আমার সাথে?
দুঃখের সময়েও আবি না হেসে পারলো না।সামান্য শব্দ করে হাসলো।তারপর বললো,"মানুষ আজকাল আত্মহ*ত্যার জন্যও আহবান জানায়।দুনিয়াতে এরকম প্রপোজাল পাওয়া মানুষ, নিশ্চয়ই, আমি-ই প্রথম।
সামিরা রেলিং থেকে নিচে নেমে এলো।নেমেই ঠাস করে বসে পরলো ব্রিজের উপর।দু'হাতে মুখ ঢেকে হাউমাউ করে কাঁদলো।আবি বাঁধা দিতে গিয়েও দিলোনা।কাঁদলে আসলে, চোখের জলের সাথে, বুকে বসত করা দুঃখরাও বেরিয়ে আসে।মন হালকা হয় তাতে।
আবি, ততোক্ষণে বাকি সিগা*রেটটুকুর ধোঁয়া বাতাসে ভাসিয়ে দিলো।তার বিশ্বাস,বাতাসে দুঃখরাও ভেসে বেড়ায়।অনেক রকম দুঃখ।সিগা*রেটের ধোঁয়ায় উড়ানো দুঃখ, দীর্ঘশ্বাসের দুঃখ।আরোও আছে কিছু কিছু।কান্নার শব্দ তার মধ্যেই মিলিয়ে এলো।হাউমাউ চিৎকার করে কাঁদতে পারলে,ক্ষনিক কান্নাই যথেষ্ট।ভাবনা শেষে সামিরার পাশাপাশি, নিচে বসে পরলো।অতঃপর ডাকলো,
-মন ভালো হচ্ছে কি?
-আমাকে সাথে নিবেন?
-আমি তো খা*রা*প লোকও হতে পারি।পু*রু*ষ মানুষ না*রী লো*ভী এটা কিন্তু মিথ্যে নয়।পু*রু*ষ জাতি মানুক বা না মানুক।
-তবে কিছু সম্পর্ক কিন্তু খারাপ নয়।একজন খারাপ পুরুষ ও সবসময় ভালো বাবা হয়।এছাড়াও কেউ কেউ ভালো ভাই, ভালো বন্ধু,ভালো স্বামী।
-প্রেমিক?
প্রশ্নটা শুনেই সামিরা উঠে হাঁটা দিলো।আবিও উঠে দাঁড়ালো।লম্বা লম্বা পা ফেলে সামিরার সাথের দূরত্বটুকু সমান করে দিলো।সামিরার উদ্দেশ্যে বললো,
-"বাড়ি তো যাবেন না।কোনো আত্মীয়ের বাসায় যাবেন বলেও মনে হচ্ছেনা।মেয়ে মানুষ, রাতে কোথায় না কোথায় ঘুরে বেড়াবেন।পরে আরো কিছু দুঃখ বেড়ে যেতে পারে।তখন বলবেন,ম*রে গেলেই ভালো হতো।ঐ লোকের জন্য এখন সম্মানে আঁচ লাগলো।অভিশ*প্ত হবো তখন।
তাছাড়াও,পরদিন সকালে নিউজপেপারে হেডলাইন অথবা টিভিতে ব্রেকিং নিউজ বেরোতে পারে,অমুক মেয়ের সাথে এই সেই অন্যায় হইছে।এসব দেখলে,নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা।তার চেয়ে বরং আমার সাথেই চলুন।"
-ইউ আর সো টক একটিভ, রাইট?
-প্রয়োজনে আর কি।
আবি কথা শেষ করেই, ড্রাইভিং সিটের পাশের দরজা খুলে দিলো।তারপর নিজে গিয়ে বসলো, ড্রাইভিং সিটে।সামিরা অগ্যতা,আবি'র সাথেই বসলো।গাড়ি স্টার্ট দিয়েই গান ছেড়ে দিলো হালকা সাউন্ডে।
-নাম?
-সামিরা।ভালো নাম সাইয়ারা সামিরা
-শুধু সামিরা কি খারাপ তবে?
এ বেলায় সামিরা একটু ভ্রু কুচকালো।অগ্নি চোখে দৃষ্টিপাত করলো।তাই দেখে,আবি হালকা করে দু একবার কেশে বললো,
-না মানে, ভালো নাম সাইয়ারা সামিরা হলে, শুধু সামিরা তো,,,
কথা অসম্পূর্ণ রেখে বললো, "যাই হোক, আমি আবিয়ান আবিদ।আবি নামেই ডাকে সবাই।একা মানুষ, একা থাকি।শখের কোম্পানি আছে একটা।ওটা ম্যানেজমেন্ট করে সময় চলে যায়।আমার কাজের জায়গাই আমার ভালবাসার জায়গা।,
-আর মা-বাবা?
-ক্ষুধা লাগেনি আপনার? খাবেন কিছু?
সামিরা বুঝলো, মি. আবি কথাটাকে এড়িয়ে গেছে।তাই আর কথা বাড়ালো না।গান শুনতে শুনতে নিরবতা পালন করে গেলো দুজন।খোলা জানালার কাঁচ ছুঁয়ে বাতাস এসে সামিরার চুলো গুলো উড়িয়ে দিচ্ছে বার বার।আড়চোখে দেখছে আবি।যার দরুন হাইস্পিডে চলা গাড়ির স্পীড ও কমলো।
বাসায় পৌঁছে আবি, সামিরাকে থাকার রুম দেখিয়ে দিলো, "এটা আপনার রুম।" তারপর সে শাওয়ারে চলে গেলো।
সামিরা দেখলো রুমটা খুবই পরিপাটি।খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো সব কিছু।পরক্ষণেই মনে পরলো ডিনার এর কথা।চলে গেলো কিচেনে।আবি, শাওয়ার নিয়ে এসে দেখে টেবিলে সাজানো গরম গরম খাবার।সামিরা নিজের হাতে পরিবেশন করলো।এতো যত্ন দেখে মা এর কথা ভীষণ মনে পরলো।
"মিস সামিরা,আপনি খাচ্ছেন না কেনো।আমি নিতে পারবো।বসুন এক সাথেই খাই।"
আবি'র এই কেয়ারটুকু, সেতো তার ভালবাসার মানুষটার কাছ থেকেও পেতে পারতো।অথচ, তার পাশাপাশি মা-বাবার মন ও ভেঙে গেলো।কন্যাস্নেহে তাদের চোখের কিনারে জল জমে।এমন দুঃখ নিয়ে সে কিভাবে মা-বাবার সামনে হেঁটে বেড়াতো।তাইতো মৃ*ত্যুকে আপন করে নিতে চেয়েছিলো।কিন্তু,কষ্টের জীবনকে মৃ*ত্যুও গ্রহন করেনা।
-কি ভাবছেন এতো, বসুন।
ডাক ভেসে আসতেই,সামিরা আবি'র দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় বুঝালো, সে বসছে।ডিনার শেষ করে দুজনই রেস্ট নিলো।তারপর শুভ রাত্রি জানিয়ে শুতে চলে গেলো।রাত বাড়ছে, অথচ ঘুম নামছে না।সামিরা উঠে গেলো।
চা হাতে দাঁড়িয়ে, আবি'কে প্রপোজাল দিলো, "চা খেতে খেতে আকাশ দেখবেন? জমানো কিছু গল্প-কথাও হয়ে যাবে।"
ছাদের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আবি আর সামিরা।সামিরার প্রপোজালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো সে।
আকাশের বুকে চাঁদ দেখে সামিরা আঙুল বাড়ালো।
-ঐ যে একটা,একলা একা নিঃস্ব তারা দেখেছেন।ওটাই আমি।
-ঐ যে দুটো তারা দেখা যাচ্ছে।ওখান থেকে একটা নন কেনো?
ভালবেসেছিলাম একজনকে।পড়াশোনায় খুব চৌকস ছিলো।প্রেমে পড়েছিলাম তার মেধার উপরই।এবিলিটি ছিলোনা তেমন।তাতে কিছু যায় আসেনি আমার।ভেবেছিলাম একদিন সে প্রতিষ্ঠিত হলে আমারই তো হবে সব।নিজের জমানো টাকা তাকে দিয়ে দিতাম।তার হাত খরচের জন্য।
"একটু থেমে সামিরা আবার বলতে শুরু করলো,"মনে পরে খুব।একবার সে ফি এর জন্য এক্সাম দিতে পারবেনা।আমি আমার ছোট ভাইয়ের বার্থডে সেলিব্রেট এর বাজেট থেকে টাকা সরিয়েছিলাম।শুধু মাত্র তার জন্যই।" বলেই বিদ্রুপ হাসলো।আবি, নিরব শ্রোতা হয়ে শুনে যাচ্ছে কেবল।
"তার বার্থডে, ভ্যালেন্টাইন সব কিছুতে গিফট দিয়েছি।প্রিয় খাবার গুলো রান্না করে নিয়ে যেতাম প্রায়ই।কখনো বা নিজের হাতেও খাইয়ে দিয়েছি।ফ্যামিলি থেকে বিয়ের কথা বলার পর আমি অভিক এর কথা বলি।ছেলে পড়াশোনায় ভালো শুনে, তারা মেনে নিলো।কোথাও না কোথাও তো বিয়ে দিবেই,মেয়ের।যদি প্রিয় মানুষটার সাথে থাকতে দেয়,তবে ক্ষ*তি কি।আমি বছর কা*টালাম তার আশায়।একটু একটু করে স্বপ্ন বুনে পাহাড় গড়লাম।যাতে সে আকাশ ছুঁতে পারে, আমার স্বপ্নে ভর করে।"
সামিরা এ পর্যায়ে এসে স্থবির হয়ে গেলো।আবি, নিরবতাকে ছুটি দিয়ে কথাদের আড্ডা জমালো।"তারপর কি হলো, মিস সামিরা? আমি শেষটা শুনতে চাই।" থমথমে কন্ঠ শোনা গেলো তার।যার দরুন সামিরার দুঃখ আরো গাঢ় হলো।নিজের দুঃখ যখন অন্য কাউকে ছুঁয়ে যায়।তখন তা আরো বেশি ঝেঁকে বসে।কষ্টকে বেপাত্তা করে,সামিরা ফের বলতে লাগলো,
হঠাৎ করে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখেনা আমার সাথে।অনেক চেস্টা করলাম, চোখের পানি ঝরালাম।অবশেষে অভিক এর এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি, নতুন সম্পর্কের কথা।বন্ধুরা তাকে জোর করে আমার সাথে কথা বলায়।জানায়, আমাকে নাকি তার আর ভালো লাগেনা।ভাবলাম হয়তো কোনো কারনে আমার উপর রেগে আছে।ঠিক হয়ে যাবে।ঠিক হলো, তবে তার বিয়ে।আপনিই বলুন না, কেমন করে মা-বাবাকে মুখ দেখাতাম? সামিরা কাঁদলো।কাঁধে হাত রেখে শান্তনা দেওয়ার ইচ্ছে হলেও, আবি, ইচ্ছেকে সংবরণ করলো।একটা মেয়ের গায়ে হাত ছোঁয়ানো মানায় না,অনুমতি ব্যতীত।
-একটু পর সকাল চলে আসবে।আজ আর নয়।আপনাকে ঘুমাতে হবে।
------★------
সকাল সকাল করে চা নিয়ে হাজির হলো, সামিরা।আবি, বিনাবাক্যে গ্রহন করলো।সকালের নাস্তাও হাজির।অফিস যেতে নিলেই টিফিন বক্স হাজির।আবি ঠোঁটের কোনে হাসি তুলে বললো, টা টা।
দুপুরে খেতে নিলেই, সামিরার কথা মনে পরলো।একবার জানা উচিত,উনি খেয়েছেন কিনা।ফোন হাতে নিতেই মনে পরলো, ফোন নাম্বার তো জানা নেই।খুব আপসোস হলো।
রাত অনেক বাজতে চলেছে।আবি, এখনো আসছেনা।সামিরার ভীষণ চিন্তা হলো।তাকে, যে জীবন দান করলো, তার কোনো বিপদাপদ হলো নাকি।একবার ফোন দেওয়া উচিত।পরক্ষণেই মনে হলো কাল থেকে তো তার ফোন অফ।এখন চার্জারই বা পাবে কোথায়।মি. আবি তো নিজের ফোনের চার্জার সাথেই নিয়ে গেছেন।
সামিরা পায়চারি করতে লাগলো।তার মাঝেই কলিং বেল বাজলো।দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতেই, চোখাচোখি হয়ে গেলো, আবির।মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো, চিন্তা হয়না বুঝি।এতো লেট করলেন কেনো?
আবি, বিস্মিত হলো।একরাশ ভালো লাগা ছুঁয়ে গেলো তাকে।নিন এটা ধরুন।পরে সবটা বলছি।নাকি দরজার সামনে সাড়িয়েই সব বলতে হবে?
সামিরা এবার এক চিলতে হেসে সরে দাড়ালো।আবি, শাওয়ারে চলে গেলো।সে প্যাকেট খুলে বিরিয়ানি, চিকেন,ছানা মিষ্টি ইত্যাদি দেখতে পেলো।
আবি,শাওয়ার নিয়েই এসেই বললো, জানতাম আমাকে ছাড়া আপনি খাবেন না।তাই রেস্টুরেন্টের খাবার নিয়ে এলাম।আজ নাহয় আমরা বাইরের স্বাদ নেই।আর হ্যাঁ, ফোন নাম্বারটা দিয়েন তো।প্রয়োজনে কল দিতে হতে পারে।সামিরা বললো,
-ঠিক আছে।তবে,একটা চার্জার লাগতো।
-একটু খুঁজে দেখলে আমার রুমেই পেয়ে যেতেন।সাইড বক্সে দুইটা চার্জার রাখা থাকে।
তারপর রাতের আকাশ দেখা।এভাবে তিন দিন পার হয়ে হলো।এর মাঝে অনেক বার বাড়ি থেকে কল এসেছে।কিন্তু সে কে*টে দিয়েছে।আজকে আবি, অফিস যায়নি।আজকে তার ছুটির দিন।সামিরাকে বললো, কলটা ধরুন।তারা খুব চিন্তা করছে নিশ্চয়ই।
কল ধরতেই মা'এর কান্নারত কন্ঠস্বর শোনা গেলো,
-তোর বাবা স্ট্রোক করেছে।আর কতো লুকিয়ে বেড়াবি।মা-বাবার কাছে সন্তান কখনো তাচ্ছিল্যের হয়না।ফিরে আয় মা।
পলকের মধ্যেই সামিরার, চোখ জলে ভারী হয়ে এলো।আবি বললো, আপনার যাওয়া উচিত।আমি দিয়ে আসবো?
সামিরা বললো, আমি একাই পারবো।তারপর সে আনন্দের দিন গুলো রেখে বাড়ি চলে গেলো।
-------★-------
এক মাস কে*টে গেলো।সামিরার অভাবটুকু প্রতিদিন টের পায়, আবি।মা-বা সেপারেশন নিয়ে আলাদা আছে।আমাকে ছাড়া তারা কেমন আছে জানিনা।কিন্তু আমি তো তাদের ভালবাসার অভাবে ভালো ছিলাম না।
"নতুন করে হাসতে শিখলাম
তুমি এলে তাই।"
কিন্তু ক্ষনিকের জন্য এসে চলে গেলে।
"আপনি কেবল আপনিময় ছিলেন না
অনুভবে তুমিময় ছিলেন
এক কাপ চা'য়ে, সকাল নামাতেন!
আপনি কেবল আপনিময় ছিলেন না
আমার খুশির কারন ছিলেন
বিষাদ রাতে সজ্ঞী হয়ে আকাশ দেখাতেন!"
ডায়েরির একটি পাতায় লিখা গুলো,স্মৃতি হয়ে গেলো।এই একটা মাসে সামিরাকে,ফোন করেও বার বার অফ পেয়েছে।কতোটা বোকা হলে মানুষ ঠিকানাটুকুও রাখেনা।
সামিরা, বাবার অসুস্থতাকে ঘিরে, চাকরি নিয়ে খুব চেস্টা করছে বিভিন্ন কোম্পানীতে।একটা নিয়োগ বিজ্ঞতি দেখে শেষ আশাটুকু নিয়ে ইন্টারভিউতে গেলো।নেক্সট নাম শুনে, আবি পিছন ঘুরে ইন্টারভিউ নিলো,ভয়েজটা মোটা করে।
পরদিন একটা মেইল গেলো, সামিরার কাছে।আপনি ইন্টারভিউতে টিকেছেন।জবটা হয়ে গেছে।তবে বিয়ে না করা পর্যন্ত জয়েন করা যাবেনা।জবটা মূলত, বউ হবার।
সামিরা প্রান ভরে হাসলো।আসলে,ইন্টারভিউতে যাওয়ার দিন, চিন্তায় সে কোম্পানির নাম খেয়ালই করেনি।
সেদিন রাতে ফোনে সামিরা জানালো, তার ফোন চু*রি হয়ে গিয়েছিলো।আবি বললো, কাল আসছি।বাসায় বলে রেখো।
0 Comments