Ad Code

সেই তুমি (সিজন - ২) পর্ব - ১১

লেখিকাঃ তাবাসসুম কথা

হীর পুনরায় নিজেকে তার ঘরে বন্দী করে কান্না শুরু করে দিয়েছে। সে তুর্যকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু নিজের অভিশপ্ত জীবনের ছায়া তুর্যর জীবনে পরতে দিতে চায় না। হীর নিজ মনেই কথাগুলো ভাবছিল তখন বাইরে থেকে নিলয় দরজা ধাক্কানো শুরু করে। হীর চোখের পানি মুছে দরজা খুলতে নিলয় জানায় তুর্য ছাদ থেকে নিচে পরে গেছে।

নিলয়ের কথায় হীর কিভাবে রিয়েক্ট করবে বুঝতে পারছে না। মনে হচ্ছে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। হীর হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে নিচে গিয়ে দেখে তুর্য মাটিতে পরে আছে। কপাল বেয়ে রক্ত পরে পরণের শার্টটা মেখে গেছে। হীর চিত্কার দিয়ে তুর্যর মাথার কাছে পরে যায়।
-- এটা কি করলেন আপনি! তুর্য! চোখ খুলুন! আপনার কিছু হবে না। আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন না তুর্য। চোখ খুলুন। কেউ আছো!! আমার তুর্যকে বাঁচাও তাকে হাসপাতালে নিতে হবে!! আম্মু! আব্বু! চাচ্চু!
তুর্য চোখ খুলুন। উঠেন না প্লিজ! আমাকে এতো বড় শাস্তি দিয়েন না তুর্য। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। এভাবে আমাকে একা ফেলেন না প্লিজ তুর্য!!
হীর কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে গেছে, কিন্তু কেউ হীরের ডাকে সাড়া দিচ্ছে। সাহায্য খুঁজতে হীর উঠে দাড়াতে গেলে তুর্য হীরের হাত টেনে ধরে। তুর্য চোখ মেলে একটা শয়তানি হাসি দিয়ে উঠে দাড়ায়। হীর এখনও হতবাক হয়ে তুর্যকে দেখছে। তারমানে এতোক্ষণ সে যা দেখেছে সব নাটক ছিল!
রাগ সংবরণ করতে না পেরে ঠাসস্ করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় হীর।
-- কি মনে করেন আপনি নিজেকে! আর আমাকেই বা আপনার কি মনে হয়! আমি যে একটা রক্তে মাংসে গড়া মানুষ আপনি বুঝতে পারেন না!! কতোটা কষ্টে আমি নিজেকে সামলাচ্ছি ধারণা আছে আপনার? তবুও কেনো এতো কষ্ট দিলেন আমাকে? আপনাকে এই অবস্থায় দেখে দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমার। আন্দাজ আছে আপনার?
-- কি বললি তুই? নিজেকে সামলাচ্ছিস? লাইক সিরিয়াসলি হীর!! তুই নিজেকে সামলাচ্ছিস? কিভাবে সামলাচ্ছিস? নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে? জীবনের সব হাসি খুশি বিসর্জন দিয়ে তুই নিজেকে সামলাচ্ছিস? এভাবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে বেঁচে থেকে তুই নিজেকে সামলাচ্ছিস? অপরাধ তুই করিস নি যে তোকে এভাবে মুখ লুকিয়ে বাঁচতে হবে। অপরাধ যারা করেছে তাদের শাস্তি দিয়ে তোকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হবে। সমাজের ভয়ে আজ যদি মুখ লুকিয়ে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাস তাহলে ভবিষ্যতে আর কোনো মেয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে না। যেই সমাজের ভয়ে মুখ লুকাচ্ছিস সেই সমাজেই প্রতিষ্ঠিত কর নিজেকে। সেটা হবে তোর নিজেকে সামলানো।
হ্যাঁ তুই হয়তো ভাবছিস আমি তোকে দয়া করে বিয়ে করতে চাইছি। কিন্তু তুই আগেও বুঝতি না আর এখনও বুঝবি না যে আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি। আমার ভালোবাসা এই শারীরিক চাওয়া পাওয়ার অনেক উর্ধ্বে হীর। তোকে দয়া করে আপন করে নেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। যেখানে তোকে ছাড়া আমি অস্তিত্বহীন। আমার আমি সত্ত্বাকে খুঁজে পেতে হলেও আমার তোকে চাই। আর আমি আমার আগের হীরকে ফিরে চাই। এই ভয়ার্ত, দুর্বল হীরকে সমাজ মেনে নিলেও আমি নিতে পারবো না। আমার জন্য হলেও তোকে নিজেকে স্ট্রং করতে হবে।
-- এতো সহজ নয় সবকিছু। নিজের ভুলের জন্য আমি আমার পরিবারকে সবার সামনে অপরাধী করে দিয়েছি। আমার জন্য এই পরিবারের কেউ আর কখনও মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবে না। আমি কলঙ্ক সবার মুখ মেখে দিয়েছি।
-- পাগল হয়েছিস তুই! এসব তোর জন্য হয় নি। এসবের জন্য তুই দায়ী না। তুই তো ভুক্ত ভোগী। তুই নিজেই যদি নিজেকে দায়ী করিস তাহলে সমাজের মানুষ কেনো পিছিয়ে থাকবে। তোর নিজেকে স্ট্রং করতে হবে। নিজের জীবন কে আরো সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে।
-- আমি পারবো তো!!
-- কেনো পারবি না! তোকে পারতেই হবে। আমার জন্য হলেও তোকে পারতে হবে।
-- আপনি আমার পাশে থাকবেন তো!!
-- শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোর সাথে থাকবো! একবার সুযোগ দিয়েই দেখ।
-- কিন্তু সবাই কি বলবে! চাচ্চু চাচি!
-- তাদের সন্তান হিসেবে তাদের প্রতি আমার দায়িত্ব কর্তব্য যা আছে সব পালন করবো। সেই সাথে আমার ভালোবাসার প্রতি যে আমার দায়িত্ব সেটাও শক্ত হাতে সামলে নেবো। তুই আমার সাথে থাকবি তো!!
হীর করুণ চোখে তুর্যর দিকে তাকিয়ে আছে। মস্তিষ্ক বারবার বলছে তুর্যকে ফিরিয়ে দিতে। নিজেকে আবারো চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে নিতে। কিন্তু মন যে মানছে না। তুর্যকে ভালোবাসে সে। বারবার মন বলছে এই ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিতে।
৮ বছর পর,,
সময় কারো জন্য থেমে থাকে না। বহমান নদীর স্রোতের ন্যায় বয়ে চলাই সময়ের ধর্ম। সেই স্রোতের সাথে মানুষের জীবনকেও পরিবর্তন করে দেয়। হীর-তুর্যর জীবনও থেমে নেই। তাদের জীবন থেকে চলে গেছে ৮ টি বছর। এই কয়েক বছরে পরিবর্তনের নিয়ম অনুযায়ী তাদের জীবনও পরিবর্তন হয়েছে।
আট বছর আগের সেইদিন টিতে হীর পারে নি তুর্যর সীমাহীন ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দিতে। তুর্যর বুকে আঁছড়ে পরেছিল সে। চোখের পানির মাধ্যমে বিলিয়ে দিয়েছিল কষ্টগুলো। তুর্যর হাত ধরেই বেরিয়ে এসেছে তার ভয়ংকর অতীত থেকে।
আপনজনদের সাপোর্ট মানুষের জীবনে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তুর্য আর হীর প্রমাণ করে দিয়েছে। সেদিন সমাজের সব নিয়ম ভেঙে আপন করে নিয়েছিল তারা দুজন দুজনকে। তুর্যর ভালোবাসা আর সাপোর্ট হীরকে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে শিখিয়েছে।
সহজ ছিল না! সব কিছু ভুলে আবার পড়ালেখা শুরু করা, প্রতিনিয়ত বাড়ির বাইরে গিয়ে মানুষের কথা শোনা,, তাচ্ছিল্যের দৃষ্টি সহ্য করা। অনেক কষ্ট হতো সহ্য করতে। দিন শেষে আবারো চার দেয়ালের আড়ালে নিজেকে বন্দী করে নিতে হতো। অন্ধাকারে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া সেই রাতগুলো ভুলে যাওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু সবকিছুর পর যখন তুর্যর বুকে মুখ গুজে ঘুমাতো হীর,,, তখন যেনো নতুনভাবে একটা সকাল শুরু করা উদ্দীপনা খুঁজে পেতো। দেখতে দেখতে সময় কাটে। পরিবর্তন হতে থাকে সব। মানুষের হীরকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। যেই সমাজ একটা সময় হীরকে ঘৃণার চোখে দেখতো সেই সমাজেই এখন হীর বিশেষ স্থানের অধিকারী।
আজ হীরের নারী কল্যাণ সংগঠনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। সমাজের অবহেলিত দুস্থ নারীদের সাবলম্বি করে গড়ে উঠতে সাহায্য করে হীরের এই সংগঠন। সংগঠনটার উদ্যোক্তা অবশ্য তুর্য নিজেই।
হীর তার NGO এর সকল মহিলাদের সাথে বেশকিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে NGO থেকে বেরিয়ে আসে। বের হতেই দেখে তুর্য গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে। হীর দেরি করে ফেলেছে খুব এজন্য তুর্য রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে হীরের দিকে।
তুর্যর এভাবে রাগী লুকে তাকিয়ে থাকা দেখেই ভয়ে ছোট খাটো একটা ঢোক গিললাম। খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি আজ আমার সাথে কি হবে! গাড়ির সামনে গিয়ে ৩২ পাটি দাঁত বের করে জোরপূর্বক একটা হাসি টেনে দিলাম। কিন্তু তুর্য সাহেব এখনও আগের মতোই অগ্নিমূর্তি ধারণ করে দাড়িয়ে আছেন। কিন্তু রাগ তো ভাঙাতেই হবে। তাই তুর্যর ফর্সা গাল দুটো একটু টেনে দিলাম।
-- করছিস কি! রাস্তার মাঝখানে!
-- তুমিই বা কি করছো! এভাবে রেগে আছো কেনো?
-- রাগবো না তো কি করবো! তুই এতো দেরি করলি কেনো? তুরের স্কুল ছুটি হয়ে গেছে জানিস না!
-- সো সরি। কি করবো বলো আপা রা ছাড়ছিলোই না।
-- হুম। উঠে পর জলদি। আর একটু দেরি হলে তুর পুরো স্কুল মাথায় উঠিয়ে নেবে।
🍂
তুর! আমাদের রাজকণ্যা,, তুর্যর জীবন। পাঁচ বছর আগে আমাদের কোল আলো করে এ পৃথিবীতে আসে। বাড়ির সবার কলিজার টুকরা এই পিচ্ছি। কিন্তু হয়েছে পুরোই লেডি ডন। আমি বুঝি না তুর্য এতো শান্ত শিষ্ট একজন মানুষ তার মেয়ে কিভাবে এতো ঝগড়াটে আর পাজী হলো। নিশ্চিত ওর দাদীর ওপর গেছে। দাদী নাতনী সারাদিন একসাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখে।
তুর্য ড্রাইভ করছে আর আমি তার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছি। তুর্য একবার আমার দিকে ফিরে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে আবার ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিলেন।
সময় কতো দ্রুত চলে যায়। বিশ্বাসই হচ্ছে না তুর্যর আর আমার বিয়ের এতোগুলো বছর চলে গেছে। রায়ান ভাইয়া-তাফসি আপু লন্ডনে শিফ্ট হয়ে গেছেন। কিশোর ভাইয়া আর হিয়ার একটা ৬ বছরের ছেলে আছে। বেশ ভালোই আছে সবাই। আমিও কিন্তু অনেক সুখে আছি। এতোগুলো বছরে একবারের জন্যও তুর্য কিংবা পরিবারের কেউ আমার প্রতি তাচ্ছিল্য করে নি। তুর্যর এতো এতো ভালোবাসার ভিরে আমার অতীতটা কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে।
সত্যি রাজ কপাল নিয়ে পৃথিবীতে এলেই হয়তো তুর্যর মতো লাইফ পার্টনার পাওয়া যায়। তুর্যকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি তুর্যর দিকে। এই মানুষটাকে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ভালোবাসলেও হয়তো আমার মন ভরবে না।
আমার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে তুর্য গাড়িতে ব্রেক কষলেন। কিন্তু গাড়ি থেকে নামতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। এটা স্কুল নয়। এটা সেই নদীর তীর যেখানে তুর্য আমাকে আট বছর আগে এনেছিলেন। যেখানে প্রথম বার আমি তুর্যর প্রতি আমার ভালোবাসা অনুভব করেছিলাম।
-- এখানে নিয়ে এলেন যে! তুর?
-- আম্মু আগেই নিয়ে গেছে বাসায়। আর এখানে আনলাম কারণ আমরা আজকে আমরা ছোট খাটো একটা পিকনিক করবো।
আট বছর আগের মতো আরো একবার তুর্যর হাত ধরে কিছুদূর আগাতেই সেই ছোট্ট কুঁড়ে ঘরটা দেখতে পেলাম। যদিও এই ঘরটা নতুন করে তোলা হয়েছে। কিন্তু সেই আগের মতোই আমার স্বপ্নের বাড়ির রূপ দিয়েছে। আমার দুচোখ ভরে এসেছে, মনে হচ্ছে সেই আগের সময়টা আমি আর তুর্য আরো একবার কাটাচ্ছি।
তুর্য আমাকে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে চেঞ্জ করতে বললেন। ব্যাগে একটা নীল শাড়ি আর কাচের চুড়ি রাখা আছে। সময় যেনো আরো একবার নিজেকে পুনরাবৃত্তি করছে। বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যথা অনুভব হচ্ছে। শাড়িটা গায়ে জরিয়ে নিলাম। নাহ বুকের বা পাশের ব্যথাটা আরো বারছে। এই মুহূর্তে তুর্যর বুকে মাথা না রাখলে শান্তি পাবো না।
দরজা খুলে ছুটে গিয়ে তুর্যকে ঝাপটে ধরলাম। আজো তুর্য নীল একটা পাঞ্জাবী পরেছেন। আজকেও তাকে দেখে আমি ক্রাশ খেলাম। অনেকক্ষণ তুর্যকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে রাখার পর আস্তে আস্তে আমার বুকের ব্যথাটা কমে আসছে।
-- কি হলো এটা। একটা অবলা ছেলের উপর এভাবে হামলা না চালালে বুঝি হতো না!
-- আমি হামলা চালিয়েছি বুঝি! আমি তোমার বউ লাগি মি. হাসবেন্ড। আমার পুরো অধিকার আছে।
-- হ্যাঁ তা আছে বৈ কি।
-- তাহলে আমাকে জরিয়ে ধরো। খুব শক্ত করে।
তুর্য আমাকে শক্ত করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
মেঘেরা আকাশে লুকোচুরি খেলছে।আচ্ছা এখন কি আবার বৃষ্টি হবে? এই বৃষ্টিই আমার কালো অতীতের সাক্ষী ছিল। আমি তুর্যকে ছেড়ে দিয়ে কুঁড়ে ঘরে ফিরে যেতে নিলে তুর্য আবারো আমাকে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলেন।
-- আজকের বৃষ্টি আমাদের ভালোবাসার সাক্ষী হবে। আজকের পর থেকে বৃষ্টির ফোঁটারা তোকে শুধু আমাদের ভালোবাসার মিষ্টি স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেবে। (তুর্য)
তুর্যকে আষ্টে-পৃষ্ঠে জরিয়ে ধরে রাখলাম আমি। তখনই আকাশের বুক চিড়ে জলরাশি নেমে এসে আমাদের ভেজাতে শুরু করলো। আজকের বৃষ্টি সত্যিই আমার জীবনে নতুন অনুভূতির সঞ্চার করছে।
তুর্যর সাথে প্রথম দিন ছাদে একসাথে ভিজার স্মৃতি মনে পরছে। নিজের অজান্তেই প্রথম সেদিন তার ঠোঁটে ঠোট ছুইয়ে দিয়েছিলাম। পরের বার তার সাথে এই জায়গাটাতে দাড়িয়ে, তাকে জরিয়ে ধরে ভিজেছিলাম। সেদিন আমার মনে তার জন্য ভালোবাসার সন্ধান পেয়েছিলাম।
তুর্য একগুচ্ছ কদম আমার খোঁপায় পরিয়ে দিলেন। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। এই মানুষটার দিকে সারাজীবন এভাবে তাকিয়ে থাকলেও আমার চোখের তৃষ্ণা মিটবে না। তুর্য আমার সব স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
-- হীর!
-- হুম।
-- একটা গান শোনা তো।
-- এখন!
-- হুম তুই অনেক ভালো গান করিস। এক কাজ কর। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের গান শোনা।
-- শোনাতে পারি যদি তুমি আমার হাতে হাত রেখে নাচো।
-- রাজি।
🎼🎼
যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….
এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায় ।
যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি
কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি ।।
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ছলকে ছলকে নাচিবে বিজলী আলো
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….
নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার ক্ষণে
মেঘ মাল্লা বৃষ্টিরও মনে মনে ।।
কদম গুচ্ছ খোঁপায়ে জড়ায়ে দিয়ে
জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….
যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….!!!
🎼🎼
-- ভালোবাসি কলিজা,, তোকে অনেক ভালোবাসি!!! (তুর্য)
-- আমিও ভালোবাসি! আমার #সেই_তুমি
🍁
টা কে অনেক ভালোবাসি।
--------সমাপ্তি-------


Post a Comment

0 Comments

Close Menu