Ad Code

সেই তুমি (সিজন - ৩) পর্ব - ১৩

 লেখিকাঃ তাবাসসুম কথা

অর্ধ জ্বালানো সিগারেটটা পুরো শেষ করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় তুর্য। ক্লান্ত থাকায় সেও দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়ে। তুর্য ঘুমিয়ে পরলে হীর উঠে তার কাছে যায়। তুর্যর মুখোমুখি যেনো না হতে হয় তাই ঘুমানোর ভান ধরেছিল এতোক্ষণ।

আজ যা করেছি তাতে তুর্যর ইগো হার্ট হয়েছে কিন্তু আমি যে নিরুপায়। তুর্য আমার যতো কাছে আসবেন আমি ততো বেশি দুর্বল হয়ে পরবো তার প্রতি। দেখা যাবে যখন সময় আসবে তখন আমি তাকে ছেড়ে যেতে পারবো না। আচ্ছা সত্যি কি তুর্য আমাকে ভালোবাসেন! যদি ভালোবাসেই থাকেন তবে কেনো বলছেন না? এমন করে আমাকে দ্বিধায় ফেলে রেখে কি শান্তি পান উনি কে জানে? কি অমায়িক লাগছে তাকে! এই মুখটা দেখতে দেখতে যদি মৃত্যুও এসে পরে তবুও কোনো অভিযোগ নেই।
তুর্যর মাথার কাছে বসে তাকে দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল করিনি।
ব্যালকনির কাচ খোলা থাকায় সকালের সূর্যের প্রথম কিরণ এসে তুর্যর চোখে পরে। সচরাচর এতো সকালে ঘুম ভাঙ্গে না তার। তাই বেশ বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলে সে। তবে চোখ খুলতেই তার সব বিরক্তি নিমেষে উধাও হয়ে যায়। হীর তার মাথার কাছে বসে ঘুমিয়ে আছে। হয়তো মাঝরাত থেকেই এভাবে আছে সে। ঘুমন্ত অবস্থায় এমনিতেই হীর কে অপরূপ সুন্দর লাগে দেখতে।
হীরের গালের হালকা লালচে তীল টা দেখতে পাচ্ছে তুর্য। লালচে হওয়াতে খুব কাছে থেকে না দেখলে দেখা যায় না তিলটা। তুর্যর ইচ্ছে করছে তিলটা ছুঁয়ে দিতে। কিন্তু পরক্ষণেই তুর্য মত পাল্টে ফেলে। কালকের মতো যদি আজকেও হয় তবে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবে না সে। তুর্য বিছানা ছেড়ে উঠতে গেলে হীর এর ঘুম ভেঙে যায়।
আড়মোড়া ভেঙে উঠতেই তুর্য কে নিজের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় পেলাম। এমন হুট করে তাকে দেখে বেশ ভয় পেয়েছি। এখন থেকে প্রতিদিন সকালে প্রথমেই তাকে দেখতে হবে ভাবতেই কেমন বুক কাঁপছে। তুর্য দুই হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে আছেন একদম আমার সামনে।
-- আমার বিছানায় কি করছো তুমি?
ভালোমতো খেয়াল করে বুঝতে পারলাম রাতে বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
-- না মানে..
-- পুরো রাত এখানেই ছিলে?
-- আরেহ আপনি জানেন রাতে আপনাকে কতো মশা কামরাচ্ছিল।
-- তো?
-- তো আমি ওখানে বসে মশা তাড়াচ্ছিলাম।
তুর্য আবারও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। আমার উত্তরে যে তার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হয় নি বোঝাই যাচ্ছে।
-- আরেহ আপনি ওসব বাদ দিন। আপনার সাথে আমার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
-- ফাইন আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। ততোক্ষণে আমার কফি রেডি করো।
তুর্য ওয়াশরুমে ঢুকলে আমি কিচেনে যাওয়ার জন্য নিচে চলে এলাম। বড় আম্মু নাস্তা তৈরি করছিলেন। আমাকে কিচেনের বাইরে দেখে যে বড় আম্মু মোটেও খুশি হন নি সেটা তার চলে যাওয়াতেই বুঝতে পেরেছি। কষ্ট পেলেও সেদিকে পাত্তা না দিয়ে কফি বানানোতে মনোযোগ দিলাম। তুর্যর সাথে তাফসির ব্যাপার টা আলাপ না করলেই নয়। এমন তো নয় যে তাফসি আমাদের বিয়ের আসল কারণ টা জানে। তাহলে কেনো সে এতো শান্ত। কি হয়েছে তাফসির!
.
ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে হীর কে কোথাও পায় না তুর্য। কফি মগ টা সেন্টার টেবিলে রাখা আছে। হাতের টাওয়াল দিয়ে ভেজা চুলগুলো হালকা মুছে আলমিরা খুলে তুর্য। একটা টি-শার্ট বের করে বিছানায় রেখে কফি মগ টা তুলে নেয়। কফিতে চুমুক দিতে দিতে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পিছন থেকে ধুম করে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ পায়। পিছন ফিরে তাকিয়ে তুর্য ফিক করে হেসে দেয়।
এক গাদা কাপড়ের ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে আছে হীর। এদিকে তুর্য হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে একপ্রকার।
তুর্যর হাসি আমার রাগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। একেতো আমি ব্যথা পেয়েছি তারওপর এভাবে মজা নিচ্ছেন উনি।
-- আমি ব্যথা পেয়েছি আর আপনি হাসছেন।
-- সরি বাট আই কান্ট কন্ট্রোল।
কাপড়ের পাহাড় পারি দিয়ে উঠতে গেলে পা পিছলে আবার পরে গেলাম। এদিকে তুর্যর হাসির মাত্রাও বেড়ে গেছে। কি মুশকিল রে বাবা।
-- একটু এগিয়ে এসে হেল্পও তো করতে পারেন তাই না!
তুর্য এসে আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
-- কোলে তুলতে বলেছি নাকি? হেল্প করতে বলেছিলাম। নিচে নামান!
-- আর ইউ শিউর?
-- অফ কোর্স। একটু আধটু ইংলিশ আমিও পারি।
-- ওকে ফাইন!
তুর্য আমাকে কোল থেকে ধারাম করে বিছানায় ফেলে দিলেন। এতো উপর থেকে পরায় বেশ ভালোই ব্যথা পেয়েছি।
-- এটা কি করলেন আপনি?
-- নিচে নামালাম।
-- এভাবে কেউ নামায়?
-- তুর্য আহমেদ চৌধুরী এভাবেই নামায়।
-- হুহ। হয়েছে হয়েছে।
-- এই কাপড় নিয়ে বিক্রি করতে বের হওয়ার প্ল্যান করেছো নাকি?
-- আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো। আপনার কি?
-- আমার ই সব। কারণ বউ টা আমার।
'কুল হীর! কুল! সকাল সকাল একটা মেন্টালের কথা কানে নিস না।'
-- কি বিরবির করছো?
-- কিছু না।
কাপড় গুলো উঠিয়ে রুমের ভিতর ঢুকতে গেলে তুর্য বাঁধা দেন।
-- আজকে পরার জন্য একটা রেখে বাকিগুলো আগের জায়গায় রেখে আসো।
-- কি বললেন আপনি?
-- রেখে আসতে বললাম।
-- সেটা না। আপনি আমাকে তুমি করে বলছেন।
-- তাতে কি হয়েছে?
-- এতো বছরে এই প্রথম তুমি করে বলছেন।
-- ইয়েস। কজ নাউ ইউ আর মাই ওয়াইফ। তোমাকে রিসপেক্ট করা আমার দায়িত্ব।
তুর্যর মুখ থেকে ওয়াইফ শব্দ টা শুনতেই কেমন একটা সুরসুরি লাগছে। অন্য রকম একটা ভালোলাগা কাজ করছে।
-- একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
-- হ্যাঁ করো।
-- আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন?
হীরের আচমকা এইধরণের প্রশ্নে তুর্য থতমত খেয়ে যায়। সে বুঝে উঠতে পারে না তার এই মুহূর্তে ঠিক কি উত্তর দেওয়া উচিত। এটাতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই যে তুর্য হীর কে অনেক ভালোবাসে কিন্তু এভাবে নিজের মুখে সেটা স্বীকার করে নেওয়ার মতো তার সাহস নেই। সহসাই প্রশ্ন টা এড়িয়ে গেলো সে।
-- দ্রুত তৈরি হয়ে নাও। আমাদের বেরুতে হবে।
এক বুক আশা বেঁধেছিলাম এই ভেবে যে হয়তো আমার প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাবো। কিন্তু তুর্য এভাবে প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন জানতাম না।
বিকেলের দিকে তুর্য আমাকে শপিং এ নিয়ে যান। তুর্য নিজে পছন্দ করে বেশ কতকগুলো শাড়ি কিনে দেন আমাকে। এমনিতে আমি শাড়ি পরলে তার চোখে বিঁধে কিন্তু এখন সে নিজেই শাড়ি কিনলেন। এই লোকটার মতিগতি হয়তো এই জনমে আর বোঝা হবে না আমার। সারাদিন সুযোগ খুঁজেও একটু সময় পাই নি তুর্য কে তাফসির কথাটা বলার। ভয় হচ্ছে আমার, যতো সময় যাচ্ছে পরিস্থিতি ততো টা খারাপ হচ্ছে না তো!
"আমার আর তুর্যর বিয়েতে কি তুমিও নারাজ?"
- তাফসির রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে কথা টা বললো হীর।
তাফসি কাউচে হেলান দিয়ে একটা বই পড়ছিল। হীরের গলার আওয়াজ পেয়ে বইটা বন্ধ করে হালকা হেসে হীর এর দিকে এগিয়ে এলো।
-- তোমরা বিয়ে করেছো তাতে আমার তো কোনো ক্ষতি হয় নি। আর নারাজ ই বা কেনো হবো? জিজ্ঞেসও তো করো নি।
-- আসলে সব এতো দ্রুত হয়ে গেলো যে!
-- হ্যাঁ দ্রুত তো বটেই। তবে তোমরা দুজন কিন্তু অনেক ভালো অভিনয় করতে পারো।
-- মানে?
-- মানে দেখো না,, আব্বু আম্মু দুজনেই বিশ্বাস করে নিয়েছে যে তুই আর তুর্য ভাইয়া একে অপরকে ভালোবাসো।
-- এসব কি বলছো তাফসি?
-- আমার সামনেও তোকে অভিনয় করতে হবে! আমি কি আর জানি না যে, তুর্য ভাইয়া তোকে ভালোবাসেন না!
তাফসি সবকিছু আগেই জানতো! আর এদিকে আমি ভেবেছিলাম এই বিয়ের মাধ্যমে তাফসিকে রায়ানের আসল রূপটা দেখাবো। (মনে মনে)
-- তুর্য ভাইয়া বিয়ে টা করেছেন আমার জন্য। কারণ তিনি জানতেন আমি তোর আর রায়ানের বিয়ে মানতে পারবো না। কিন্তু তুই হীর! তুই আমার ভাইয়ের জীবন টা নষ্ট করার আগে একবারও চিন্তা করলি না! আমার জীবন শেষ করে শান্তি পাস নি তাই না রে! তুর্য কি অপরাধ করেছিল? ওকে কেনো এতোবড় ধোকা দিলি?
-- তাফসি! তুমি এখনও বিশ্বাস করছো আমার রায়ানের সাথে সম্পর্ক ছিল?
-- বিশ্বাস না করার কি আছে? সবতো আমার সামনেই। প্রথমে রায়ানকে ফাসিয়েছিলি। সেখানে হয়তো তোর স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটেছে তাই তুর্য কে নিজের ভালোবাসার মায়াজালে ফাসিয়েছিস।
আর কিছু বলার ক্ষমতা নেই আমার। যতো যা ই করি সবসময় তার বিপরীত ই হয়। কেনো আমার সাথেই এমন হয়? পরিস্থিতি কেনো সবসময় আমার প্রতিকূল থাকে? তাফসি এখনও আমাকেই ভুল বুঝছে। আমি তো তুর্য কে ফাসাই নি। তুর্য কে তো আমি ভালোবাসি। কিন্তু তবুও কখনও কুমতলবে তাকে হাসিল করতে চাই নি। তাহলে কিভাবে তারা এটা বিশ্বাস করছে এসব কিছু আমি করছি! এতোটা নিচ ভাবে সবাই আমাকে?
.
অনেক রাত করে বাড়ি ফিরে তুর্য। নতুন নতুন কোম্পানির হাল ধরলে যা হয় আর কি। কাজ বুঝে সেটাকে সম্পন্ন করতেই রাত নেমে আসে।
হীর ঘুমিয়ে পরেছে। কাউচের এক পাশে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে। তুর্য হীর কে এক নজর দেখে ফ্রেশ হতে চলে যায়। প্রায় একঘন্টার মতো সময় নিয়ে শাওয়ার শেষ করে। সারাদিনের সব ক্লান্তি দূর করার মোক্ষম উপায় এটা। বেরিয়ে এসে আবারও হীর এর দিকে দৃষ্টি দেয়। হীর আগের ভঙ্গিতেই শুয়ে আছে। এবার তুর্য খানিকটা নিচে ঝুঁকে। হীর ঘুমের ঘোরে বারবার ফুঁপিয়ে উঠছে। তুর্যর আর বুঝতে বাকি থাকে না যে হীর ঘুমানোর আগে কাঁদছিল। সম্পূর্ণ কাহিনী না জানলেও কিছু টা আন্দাজ সে করতে পারছে।
হীর এর নাক আর গাল দুটো লাল হয়ে আছে। তুর্য হীর এর দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে হীরের গালে তার ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো। ঘুমের ঘোরে হীর খানিকটা কেঁপে উঠলে তুর্য একটু দূরে সরে যায়। হয়তো সে ভয় পাচ্ছে হীর জেগে উঠলে তাকে দেখে ফেলবে।
তুর্য হীর কে পাঁজাকোলে তুলে বেডে এনে শুইয়ে দেয়। কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে হীর কে দেখে, বেড সাইড টেবিলে রাখা সিগারেটের প্যাকেট টা হাতে নিয়ে ব্যালকনিতে যায়। ব্যালকনির রেলিং এর কার্নিশ ঘেঁসে দাঁড়িয়ে সামনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। একটা সিগারেট প্যাকেট থেকে বের করেও কিছু একটা ভেবে আবার রুমে ফিরে আসে। সিগারেটের প্যাকেট টা আগের স্থানে রেখে হীরের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে।
ঘুম থেকে উঠে তুর্যর বাহুডোরে আবিষ্কার করলাম নিজেকে। শুধু সেটা হলেও মানা যেতো কিন্তু তুর্য আমার বুকের উপর শুয়ে আছেন, দু হাতে আমাকে জরিয়ে। আমার হৃত্স্পন্দন ঠিক আগের বারের মতোই তীব্র হয়ে উঠছে। তুর্য আমার এতোটা কাছে এলেই এমন হয়। ঠিক এই মুহূর্তে আমি আমার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এইবার এমনটা হওয়ার আগেই আমাকে এখান থেকে সরতে হবে। কিন্তু আমি এখানে এলাম কি করে? আমি তো কাউচে শুয়েছিলাম রাতে।
খুব সাবধানে নিজেকে তুর্যর বাহুডোর থেকে আলগা করার চেষ্টা করছি। কাল তুর্য আমার কারণে ঘুমাতে পারেন নি। আজকেও সেটা হোক চাই না।
কোনোমতে তুর্যকে সরিয়ে সেখান থেকে উঠে পরলাম।
ফ্রেশ হয়ে সবার জন্য রান্না করে টেবিলে রেখেছি, জানি না বড় আম্মু আমার বানানো খাবার খাবেন কি না! তাফসির ব্যাপার টা আজকে তুর্যকে বলতেই হবে। তুর্যর কফি নিয়ে রুমে ঢুকতে যাবো তখন একটা আননোন নাম্বার থেকে আমার মোবাইল এ কল আসে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রায়ানের কন্ঠ ভেসে আসে।
-- তুমি কি মনে করো নিজেকে? খুব চালাক তুমি? আমার ইগো হার্ট করবে আর আমি ছেড়ে দেবো তোমাকে? ইউ আর রং। আই উইল শো ইউ হু আই অ্যাম।
আমার কিছু বলার আগেই রায়ান কল কেটে দেয়।
ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে আরও বড় কোনো সমস্যা আমার অপেক্ষা করছে! হঠাত্ করেই কেনো যেনো মনে হচ্ছে তাফসি কে একবার দেখা দরকার। হাতের ট্রে টা সামনের টেবিলে রেখে তাফসির রুমের দিকে ছুটলাম। কিন্তু তাফসি ঘরে নেই। সারা বাড়ি খুঁজেও তাফসিকে কোথাও পেলাম না। তাফসি রায়ানের সাথে দেখা করতে যায় নি তো!
তাফসির কথা ভাবতে ভাবতে রুমে ঢুকছিলাম। হঠাত্ কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে নিচে পরে যেতে নিলে কেউ একজন আমার কোমর চেপে ধরে।
"দেখে চলতে পারো না? এখন আমি না ধরলে নির্ঘাত পরে ব্যথা পেতে।"
- হীর কে জরিয়ে ধরা অবস্থায় কথাটা বললো তুর্য।
-- আরেহ আপনি! আপনি আমাকে বাঁচিয়েছেন! থ্যাংক ইউ।
-- ইটস্ ওকে। কিন্তু একটু সাবধানে চলো।
-- হ্যাঁ। তা বুঝলাম। কিন্তু এখন ছাড়ুন আমাকে।
তুর্য খানিকটা লজ্জা পেয়ে হীর কে ছেড়ে দিলো।
-- কফি?
-- এই যাহ! ভুলে গেছি এখুনি নিয়ে আসছি।
হীর কফি আনতে গেলে তুর্য হীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের মনেই হালকা হেসে উঠে।


Post a Comment

0 Comments

Close Menu