লেখিকাঃ তাহিনা আইরাত ইরা
পড়ন্ত বিকালে পরণে গাড় নীল সেলোয়ার-কামিজ পড়ে এলোচুলে বারান্দায় বসে আছে এক রমণী। গভীর কোনো ভাবনায় মশগুল সে। তখনই তার কাঁধে কেউ হাত রাখে। চমকে ওঠে সেই রমণী। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে পিছনে প্রহর দাঁড়িয়ে আছে।
“মোহ...
প্রহরের ডাকে মোহ'র চোখমুখ শক্ত হয়ে যায়। নিজের কাঁধ থেকে প্রহরের হাত ঝারি দিয়ে ফেলে দেয়।
“কী চাই আপনার?”
মোহ'র চোখমুখ তখনও শক্ত। নিচের দিকে তাকায় মোহ। তারপর শান্ত স্বরে বলে ওঠে,
“আপনি এখন আর আমার হৃদয়ে যায়গা পাবেন না। আমার মন থেকে উঠে গেছেন আপনি।”
মাথা নিচু করে ফেলে প্রহর। বুকের ভিতর চিনচিনে ব্যাথা উঠেছে। এ ব্যাথা কীসের? না পাওয়ার কষ্ট? হয়তো তাই। এতক্ষণে তার চোখ থেকেও পানি পড়ছে। নিজের ভিতরে তীব্র অপরাধবোধ কাজ করছে। ইশ, মেয়েটার সাথে কেন এমন করলো? একটু ভালোবাসলে কীই বা হতো?
সেখান থেকে চলে আসে প্রহর। ওইযে মানুষ বলে না, দাঁত থাকলে দাঁতের মুল্য দিতে হয়, নাহলে পরে চাইলেও পাওয়া যায় না। প্রহরের অবস্থা টা ঠিক এমনই। নিজের পাপের শাস্তি পাচ্ছে এখন।
_____________YouTube
চোখের উপর হাত দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে উষ্ণ। মন টা ভালো নেই। কাল রাতে মোহ'র ওই অবস্থা দেখে মনে অনেক সংশয় কাজ করছিল। তার উপর রাতে প্রভাদের বাড়িতে থাকাটাও উষ্ণের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রহর কে কেন যেন ভালো লাগে না তার। সব সময় মোহ কে নিয়ে বেশি চিন্তা করে। উষ্ণের ভাষ্যমতে এসব শুধুই আদিখ্যেতা।
সোজা হয়ে বসে উষ্ণ। বুকের ভিতর দিড়িম দিড়িম শব্দ হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে অস্থিরতা যেন বাড়ছে। তার সাথে উষ্ণের ভয়। যখনই তার এমন অস্থির লাগে তখনই তাকে ছেড়ে কেউ না কেউ চলে যায়। এসব দেখে এখন ভয় লাগে উষ্ণের। যদিও কেউই নেই তার।
অস্থিরতা কমাতে উষ্ণ নিজের গিটার টা বের করে ছাদে চলে যায়। মনে মনে মোহ'র উদ্দেশ্যে গেয়ে ওঠে,
“তুমি অন্য গ্রহের চাঁদ,
আমার একলা থাকার ছাদ..
তোমার ফেরার সম্ভাবনা,
অমাবস্যার জোছনা”
____________TikTok
তটিনী আজ খুব খুশি। তার উষ্ণ স্যার তাকে কতদিন পর পড়াতে এলো। কতদিন পর তাকে মন ভরে দেখতে পেলো। খুশিতে নাচতে থাকে সে। হটাৎ শুনতে পায় তার মায়ের চিৎকার। তটিনী ছুটে নিচে চলে যায়। রান্নাঘরে ঢুকতেই হতভম্ব হয়ে যায় তটিনী। চোখ ফেটে বেরিয়ে আসে অশ্রু। রান্নাঘরের মেঝেতে রক্ত ছড়িয়ে আছে। আর তার পাশে বসে কাটা পা ধরে কাতরাচ্ছে আরিফা বেগম...
0 Comments