লেখিকাঃ সাবিহা জান্নাত
পর্বঃ ০৬
অনেকদিন হয়েছে শ্রুতির সাথে বিভোরের দেখা হয়নি। বিভোর শ্রুতির সব স্মৃতি ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সত্যি কি স্মৃতি ভোলা যায়।
~ শ্রুতিরা স্মৃতি হয় না, শ্রুতিরা বিরাজমান থাকে সব ভালোবাসার মানুষদের হৃদয়ে...!
বিভোর বাইক নিয়ে বেরিয়েছে একটা কাজের উদ্দেশ্যে। রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বর্ন ধারন করতেই একে একে সবকিছু থেমে যায়। বিভোর বাইক দাঁড় করিয়ে রয়েছে সে। পাশ ফিরতেই একটা রমনীর মায়াবী চোখে চোখ আটকে যায়।
সে চোখের চাহনিতে বিভোর হারিয়ে গেছে অতল গভীরে। সে অনুভব করছে এই মায়াবী আঁখি দুটি তার কতশত চেনা, কতই না তাদের গভীর সম্পর্ক। রমনীর অবাধ্য চুলগুলো তার মুখের উপর পড়ে বারংবার তাকে বিরক্ত করছে। রমনী তার আলতো হাতে চুলগুলো সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
চারদিকে হিমেল হাওয়া বইছে। নতুন করে সে আবার ও প্রেমে পড়েছে তার। রমনীর হাস্যোজ্জ্বল মুখশ্রী তার চোখে পড়তেই সে আবারো দুঃখের সাগরে ভেসে যায়। শ্রুতির মুখখানি দেখে নিমিষেই সে মলিন হয়ে যায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি আমার জন্য তোমাকে সৃষ্টি ই না করে থাকে তাহলে তোমার প্রতি আমার কেন এতো আকর্ষন।তোমাকে তো ভুলেই যেতে চেয়েছিলাম তবুও কেন তোমার মুখখানি দেখে নিমিষেই সে অভিমান দূর হয়ে যায়। আমি বার বার প্রেমে পড়ে যাই তোমার ওই মায়াভরা আঁখিতে।
এসব ভাবনার মাঝেই ট্রাফিক সিগন্যালে সবুজ আলো জ্বলে উঠতেই একে একে সবকিছু চলতে শুরু করে। শ্রুতি আপন মনে রিক্সায় বসে রয়েছে। কলেজের কাছাকাছি এসেই গেছে প্রায়। হঠাৎ ই তাদের রিক্সার সামনে বিভোরের বাইক দাঁড় করানোতে সে একটু চমকে যায়।
বিভোর রাগের বসে রাস্তায় উল্টা পাল্টা কিছু করবে না তো । এমনিতেই সে শান্ত মস্তিষ্কের মানুষ তবুও যখন রেগে যায় তখন তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।আগের শান্তশিষ্ট বিভোর আর শান্তশিষ্ট নেই। সময়ের ব্যবধানে সেও অনেক বদলে গেছে।
শ্রুতির ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে বিভোর যখন রিক্সার চাকায় আটকে যাওয়া তার ওড়না টা ছাড়িয়ে দেয়, তখন শ্রুতির ভুল ভাঙ্গে। শ্রুতি নিজের দুই হাতের মাঝে ওড়নাটা গুটিয়ে নেয়।
~ মামা একটু সাবধানে রিক্সা চালিয়ে যাবেন, বলেই বিভোর বাইক নিয়ে আবার চলতে শুরু করে।
বিভোর একটা রেস্টুরেন্টে চলে যায় বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য।আর শ্রুতি কলেজ ক্যাম্পাসে চলে যায়।
দুপুরের পরপরই শ্রুতি কলেজ থেকে ফিরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু বিভোর ফিরে না।
সন্ধ্যায় খোলা আকাশের নিচে বিজ্রের রেলিংয়ের উপর হাত ছড়িয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে রয়েছে বিভোর। সমস্ত অভিযোগ গুলো সে নিরব হয়ে আকাশের পানে তুলে ধরছে ।
~ তুই এখানে। তোকে কতবার ফোনে ট্রাই করছি , কিন্তু কোনো রেসপন্স করছিলি না তুই । আর এভাবে ব্রিজের রেলিং এর উপর হাত ছড়িয়ে বসে আছিস যে, পড়ে যেতে পারিস এখানে থেকে ( সায়ন )
পেছনে থেকে সায়নের বলা কথায় বিভোরের অবস্থার বিন্দুমাত্র অবনতি নেই। ও আকাশের পানে ই তাকিয়ে রয়েছে ।
~কি হলো কথা বলছিস না কেন তুই ? ( নিহান )
বিভোর কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলে উঠে,,,
~ আমি শ্রুতি ছেড়ে দূরে থাকতে পারছি না। আমি ওকে হারিয়ে ফেললাম ..! কথাটা বলেই বিভোরের দু ফোঁটা চোখের পানি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে।
~ তাহলে ওকে সব সত্যি টা বলে দে। এভাবে ভুল বোঝাবুঝি করে দুরত্ব তৈরি করছিস কেন? দেখিস শ্রুতি সত্যি টা জানতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে - সায়ন এবং নিহান একত্রে কথাটা বিভোর কে বলে।
~ ও বিশ্বাস করবে না। ও সেই পরিস্থিতে নেই। ওর এখন আমাকে না আছে পাবার ইচ্ছে আর না আছে হারানোর ভয়...!
~ আমরা তারপরও চেষ্টা করতে পারি । শেষ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। তুই এখন বাসায় চলে যা। আন্টি তোর জন্য চিন্তা করছে ( সায়ন )
~ আমার জন্য চিন্তা করলে আমার লাইফ টা এভাবে ধ্বংস করে দিতে পারতো না। তিনি তো আমার মা হয়েও আমাকে বুঝলো না।আমার সবকিছু শেষ করে দিলো - বিভোর কথাটা বলছে আর তার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম।
সায়ন এবং নিহান মনে হয় প্রথম দেখছে কোনো ছেলেকে তার প্রিয়তমার জন্য কান্নাকাটি করতে । তবুও তার এই কষ্ট টা কেন যে শ্রুতির হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারছে না।
সায়ন এবং নিহান অনেক বুঝিয়ে বিভোরকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। বিভোর বাহিরে থেকে ফ্রেশ হয়ে বাসায় চলে যায়। ওর আম্মুর প্রতি এক রাশ ঘৃনা জমে থাকলেও সে আর তা প্রকাশ করছে না।
~ পড়াশোনা তো শেষ। আশা করি এবার অফিসের কাজে হাত লাগাবে।আমি আর এই বয়সে কত কি সামলাবো বলো। কোম্পানির দায়িত্ব টা তো শেষ পর্যন্ত তোমাকেই নিতে হবে।
খাবার খাওয়ার সময় বিভোরের কানে তার বাবার কথাটা কর্নগোচর হতেই বিভোর তার বাবাকে বলে উঠে ,,,
~বাবা আমি কাল থেকেই অফিসে জয়েন করবো। সবকিছু গুছিয়ে উঠতে কিছুদিন সময় লাগবে। তারপর না হয় সিও এর চেয়ার টায় বসবো । আপাতত সবকিছু আমাকে ঠিকঠাক মতো বুঝিয়ে দাও।
ছেলের কথা শুনে বিভোরের বাবা একটু চমকে যান। ছেলে সহজেই কথাটা মেনে নিবে ভাবতে পারেন নি তিনি। উপস্থিত সবাই তার কথায় খুশি হয়ে যায়।
পরেরদিন সকালের নাস্তা শেষ করে বিভোর বাবা এবং চাচ্চুর সঙ্গে অফিসে রওনা হয়। তাকে অফিসের সব স্টাফদের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দিয়ে সব কাজ আসতে আসতে বুঝিয়ে দিতে থাকে।
তিন মাসের ভিতরে বিভোর অফিসের সবকিছু ঠিকঠাক বুঝিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই কয়েকমাসে বিভোর শ্রুতির থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। সবকিছু ভুলে নতুন করে বাঁচতে শুরু করছে।
আজ বিভোর কে কোম্পানির সিও এর দায়িত্ব টা প্রদান করা হবে।সেই সুবাদে অফিসে অনেক কিছুই আয়োজিত। সব সম্মানিত ব্যাক্তিরা সেখানে উপস্থিত থাকবে।
পরিবারের সবাই সেখানে উপস্থিত রয়েছে।
শ্রুতিও তার আম্মু আর ভাইয়ের সঙ্গে উপস্থিত রয়েছে সেখানে।তার এখানে আসার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না শুধুমাত্র তার বড় আব্বুর কথা ফেলতে না পেরে এসেছে।
বিভোর প্রোগ্রামে গিয়ে তার আপুকে দেখেই অবাক হয়ে যায়। যে সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য স্বামী সন্তান নিয়ে গিয়েছিল।বিভোর বড় আপুকে দেখেই আলিঙ্গন করে নেয়।
~তুমি আসবে আমাকে তো বলো নি। হুট করে এভাবে আসা কথাটা বিভোর ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করতেই বারিশা বলে উঠে,,
~ এসেছি তিন দিন আগে তবে ভাবলাম আজকে তোকে দেখা দিয়ে সারপ্রাইজ দিবো । সেটাই করেছি আজ। তাদের কথা বলা শেষে বিভোর গিয়ে বাবার পাশের সিটে বসে পড়ে।
কিছুক্ষণ পর মূল পর্ব শুরু হয়। শ্রুতির অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার অবাধ্য মনটা মুগ্ধ দৃষ্টিতে বিভোরকে দেখছিল । বিভোর সবটাই আড় চোখে লক্ষ্য করছিল । শ্রুতির এমন বিরক্তহীন মুখে হাঁসি দেখে বিভোরের মুখে কিঞ্চিত পরিমাণ হাঁসি।
অফিসের সব কাজকর্ম শেষ হলে সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এক গাড়িতে পরিবারের বড়রা এবং অন্য গাড়িতে প্রাপ্ত বয়সীরা। বিভোরের গাড়িতে শ্রুতি সিফানের পাশে বসে রয়েছে। গাড়ি চলছে আপন মনে।
শীতের রাতে গাড়ি ছুটে চলছে তার গন্তব্যে। রাস্তায় ফুট ভিলেজের সামনে গাড়ি কিছু সময়ের জন্য দাঁড় করানো হয়। সবাই একে একে গাড়ি থেকে নেমে রেস্টুরেন্টে চলে যায়।
শ্রুতি ঘুমিয়ে পড়েছে গাড়িতেই। রাতের আঁধারে শ্রুতিকে একা রেখে যেতে চায় না সিফান। শ্রুতির পাশে বিভোর থাকবে এটা বলে বিভোর সিফান কে পাঠিয়ে দেয়। সবাই চলে যায় , আর শ্রুতি বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।
বিভোর একটু লক্ষ্য করতেই টের পায় শ্রুতি শীতে কাঁপছে। ভুলক্রমে তার শীতের চাদর সে অন্য গাড়িতে রেখে এসেছে। বিভোর কোনো কিছু না ভেবে নিজের গায়ের জ্যাকেট টা শ্রুতির গায়ে জড়িয়ে দেয়। আর সে গিয়ে শ্রুতির পাশে বসে পড়ে।
শ্রুতির মাথা নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর তারা সবাই ফিরে আসে। শ্রুতিকে বিভোরের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাতে দেখে সিফান তার আপুকে বিরক্ত না করে বিভোরের পাশের সিটে বসে পড়ে।
কিছুক্ষণের মধ্যে তারা বাসায় পৌঁছে যায়। সারাদিনের ক্লান্তি তে শ্রুতির ঘুম ভাঙ্গে নি। সিফান ছোট ছেলে হয়ে শ্রুতিকে কোলে তুলেও নিয়ে যেতে পারবে না। আর সে চায় না তার আপুর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
অবশেষে বিভোর শ্রুতিকে পাঁজর কোলে তুলে নেয়। শ্রুতিদের বাসার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় সে। বিভোর শ্রুতিকে এর আগেও অনেকবার কোলে তুলে করে নিয়ে গেছে কিন্তু আজকের অনুভূতি তার কাছে অসম্ভব ভালো লাগছে।
বিভোর শ্রুতিকে নিয়ে তার ঘরে রেখে তার কপালে একটা চুমু এঁকে দিয়ে আবার নিজের বাসায় ফিরে আসে। সারাদিনের ক্লান্তি তে সে খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়ে।

বাবা আমাকে এই ড্রেসটায় কেমন লাগছে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর মুখে মিষ্টি সুরে কথাটা সাদাদ চৌধুরীর কানে যেতেই তিনি আহ্লাদী কন্ঠে বলে উঠে,,
~ আমার মামুনিকে আজ প্রিন্সের মতো লাগছে । আজ আমার মামুনির জন্মদিনে আজ তার জন্য একটা ছোট্ট উপহার থাকছে যেটা আমার মামুনির খুব পছন্দ হবে।
বাবার কথায় মিষ্টি সুরে হেঁসে উঠে ষোড়শী কন্যা শ্রুতি। খুব ঘটা করে তার জন্মদিন পালন করা হয়। সবাই একে একে গিফট বক্স উপহার দেয় কিন্তু সে বিভোর এবং তার বাবার থেকে কোনো উপহার পায়নি সে।
সে সেটার ই অপেক্ষা করছে। অবশেষে সেই প্রতিক্ষিত মুহুর্তে এসে যায়। " মামুনি চোখ বন্ধ করো" বাবার করায় শ্রুতি চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে দিতেই তার বাবা উপস্থিত সকল মানুষের সামনে মেয়ের হাতে একটা চাবি তুলে দেয়।
শ্রুতি চোখ খুলে হাতের মুঠোয় একগুচ্ছ চাবি দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যায়। সেই সাথে তার মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করছে।
শ্রুতির বাবা মেয়েকে নিয়ে তাদের বাসা থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত রাস্তা অপর পাশের দুই তলার বাড়িটার সামনে নিয়ে যায়। বাড়ির সামনের দিকটায় কাপড় দিয়ে ঢাকা। শ্রুতি খুব আগ্রহ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
কয়েকজন এসে কাপড় সরিয়ে দিতেই শ্রুতি বাড়ির সারনেমটায় নিজের নাম থেকেই তার মুখে খুশির ঝলক । বাবা তুমি ....
~ হ্যা মামুনি আমার তরফ থেকে আমার প্রিন্সেস এর জন্য ছোট্ট একটা উপহার। আজ থেকে এই বাড়ির সবকিছুই তোমার । এই বাড়ির মালকিন তুমি। এই নাও চাবি - বলেই সাদাদ চৌধুরী সবার সামনে মেয়ের হাতে চাবিটা দিয়ে দেয়।
সবাই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে বাড়িটার সৌন্দর্য দেখতে থাকে। নিখুঁত কারুকাজ। বাড়িটা মেয়ের প্রতি বাবার ভালোবাসার নিদর্শন প্রকাশ পেয়েছে।সাদাদ চৌধুরী বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে বাড়ির দিকে তাকিয়ে রয়েছে মুগ্ধ দৃষ্টিতে।
~ আপনাদের রাজপ্রাসাদের মতো একটা বাড়ি থাকতে এখানে আরেকটি বাসা তৈরি করার কারন টা বুঝতে পারলাম না । একজন লোক এসে সাদাদ চৌধুরী কে কথাটা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলে উঠেন,,
~ আমার মেয়ের জন্য তৈরি করেছে বাড়িটা। এটার মালিকানা শুধুই আমার মেয়ে।
~ আপনার মেয়ে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে । তাহলে তার জন্য বাড়িটার কি প্রয়োজন ( লোকটা )
~ আমার মেয়ে যেন মাথা উঁচু করতে বলতে পারে তার বাড়ি আছে। কখনো কেউ যেন বলতে না পারে মেয়েদের বাড়ি নেই। অন্যের বাড়িতে থাকতে হয় তাদের।আমি সেই জন্য ই বাড়িটা তৈরি করেছি তার জন্য। আমার মেয়ে তো সারাজীবন আমার কাছে থাকবে না কিন্তু আমার দেওয়া বাড়িতে সে যেন থাকতে পারে । সেই জন্য বাড়ির দলিল তার মেয়ের নামে দিয়েছি।সাথে বাড়ির সারনেম, বাড়ির আনাচে কানাচে শুধু তার স্মৃতি থাকবে ( সাদাদ চৌধুরী )
~ মেয়ে যদি আপনার কথা মনে না করে। স্বার্থপরের মতো চলে যায় তখন কি করবেন ( লোকটা )
~ যাবে না । মা কখনোই তার সন্তান কে স্বার্থপরের মতো ছেড়ে যায়। আমার মেয়ে আমার ২য় মা হয়ে এসেছে। সে কখনোই আমার দুঃখের কারন হবে না।
সাদাদ চৌধুরীর মেয়ের প্রতি ছিল তার অঘাত বিশ্বাস। তার মেয়ে তার সেই বিশ্বাস টা রেখেছিল । সবকিছুর বিনিময়ে সে তার বাবার সুখের কারন হয়েছিল।
সময়টা প্রায় সন্ধ্যা

শ্রুতি তার পাওয়া গিফট গুলো নিজের ঘরে বসে সাজিয়ে রাখছে। এতো গুলো গিফট পেয়েও শ্রুতির মুখটা মলিন হয়ে আছে। সবার থেকে গিফট পেলেও বিভোর তাকে গিফট দেওয়া তো দূরের কথা তার জন্মদিনে তাকে একটিবার ও দেখাও দেয়নি ।সেই সকাল থেকে উধাও সে জানে কই চলে গেছে ।
তখনি পেছনে থেকে কেউ শ্রুতির চোখ দুই হাত দিয়ে ঢেকে রাখে। পরিচিত হাতের স্পর্শ পেতেই শ্রুতির মুখে হাঁসি ফুটে। চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিতেই ফিরে দেখে........
0 Comments