Ad Code

প্রেমবাণী (সিজন ১) পর্ব ১

লেখিকাঃ ফাতেহাতুন নিলা

প্রেমবাণী নিয়ে তোমার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি,,,!!

কাঁড়া নাড়তে যে বড্ড ভয় করে,,,
যদি ফিরিয়ে দেও,,!
যদি আমার মুখের ওপর দরজাটা বন্ধ করে দাও,,,!!
অভিমানের পাল্লাটা যে বড্ড ভারি,,
তবুও তো অপেক্ষায় আছি,,
শুধু তোমার আশায়,,!!
এতটুকু লিখেই ডায়েরিটা বন্ধ করে রেখে দেয় আগের জায়গায় নিদ্রিতা জাহান নিলুফা।পড়ার টেবিল থেকে ওঠে গিয়ে রুমের দক্ষিণ দিকে থাকা জানালাটার কাছে দাঁড়ায়। বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফোঁটা হালকা আচঁড়ে পড়ছে নিদ্রিতার চোখে মুখে। কিন্তু তাতে তার বিন্দুমাএ খুশ নেই। সে তো আছে তার গভীর ভাবনার মাঝে।
~আচ্ছা লোকটার এত রাতে কি এমন কাজ আছে যার জন্য এখনো বাড়ি ফিরেনি। এত বৃষ্টির মাঝেও সে বাহিরে এখনো। কোনোভাবে কি শ্রেয়া আপুর সাথে নয়তো। মেহরাব ভাই কি আমাকে কখনো বুঝবে না। তার চোখে কি আমার পাগলামো গুলো পড়ে না? সে কি দেখে না তার প্রতি আমার দুর্বলতা?মেহরাব ভাই আপনি আজও আমার হবেন না? একটু তাকান আমার দিকে মেহরাব ভাই। আপনাকে ছাড়া আমি অচল।
কথাগুলো বলার সময় নিদ্রিতার দুই চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে। বজ্রপাতের বিকট শব্দে নিদ্রিতা ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে। ভয়ে তার সমস্ত শরীর কেপে ওঠে। দাঁড়াল না আর জানালার সামনে সে। করে বন্ধ করে দেয় জানালার গ্লাসগুলা।
~যে আমার না, কখনো আমার হবে না, যার কাছে আমার কোনো মূল্য নেই। আমার অনুভূতির গুলোর কোনো মূল্য নেই। আমার অপেক্ষার কোনো মূল্য নেই। তার জন্য পথ চেয়ে বসে থাকাটা কি বোকামি নই? অবশ্যই বোকামি। তার থেকে ভালো এই সুন্দর, শীতল, বৃষ্টিময় দিনে কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমানো।
•কথাগুলো বিরবির করে বলেই ঘুমের দেশে পাড়ি জমাই নিদ্রিতা।
*★*TikTok
~গাড়ি থেকে নাম শ্রেয়া। তোমাদের বাড়ির সামনে চলে এসেছি।
কিন্তু মেহরাবের কথা যেন শ্রেয়ার কর্ণ পর্যন্ত পৌছালো না। সে তো একধেনে মেহরাবের দিকে তাকিয়ে আছে। শ্রেয়ার এই তাকানোটা প্রতিমূহূর্তে মেহরাবের বিরক্তি বাড়িয়ে তুলছে।
দাঁতে দাত চেপে পুনরায় বলল মেহরাব
~গাড়ি থেকে নাম শ্রেয়া, আমাকে বাড়িতে পৌছাতে হবে। অনেক দেরি হয়ে গেছে আমার।
~ভালোবাসি তোমাকে মেহরাব। অনেক বেশি ভালোবাসি। সেই ছোট বেলা থেকে। মনে আছে তোমার মেহরাব আমাদের ছোট বেলার কথা....
~এই মেয়ে তোমাকে কি আমি এসব পেঁচাল বলতে বলেছি। নাম গাড়ি থেকে।
ধমকে কথাগুলো বলে মেহরাব। ইচ্ছে করছে কসিয়ে দুইটা থাপ্পড় লাগাতে কিন্তু পারছে না। দাঁত কিড়মিড় করে রাগটা কমিয়ে রাখছে এখন।
এদিকে মেহরাবের এমন ধমক শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে শ্রেয়া। এখন যদি আর একটা উল্টা পাল্টা কথা বলে তাহলে নির্ঘাত তার গালে থাপ্পড় পড়বে। আর যায় হোক থাপ্পড় হাওয়া যাবে না। এই মূহুর্তে শ্রেয়া আর মেহরাবকে কিছু বলবে না। তাকে ভালো মেয়ে হিসেবেই মেহরাবের সামনে থাকবে। কোনো ভাবে শুধু মেহরাবকে নিজের করে পেয়ে যাক। তারপর না-হয় নিজের মত থাকবে।
শ্রেয়া যখন নিজের মত করে ভাবছিল তখন মেহরাব গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
তা দেখে শ্রেয়া বলতে শুরু করে,
~তোমার এই ভাব আর কতদিন থাকবে খুব বেশি না। আমাকে পাত্তা দেওনা এটা কি ঠিক জিদান মেহরাব চৌধুরী? আমার পিছনে পিছনে যদি তোমাকে না ঘুরিয়েছি তাহলে আমার নামও শ্রেয়া মেহজাবিন না। কথাটি বলেই শ্রেয়া বাড়ির ভিতর চলে যাই।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu