Ad Code

বর্ষণ বিলাস পর্ব - ৭

 লেখিকাঃ তাহিনা আইরাত ইরা

এক স্নিগ্ধ সকাল। তবে আকাশ টা মেঘাচ্ছন্ন। ভার্সিটি ক্যাম্পাসে বন্ধু-বান্ধবী রা ঘুরে বেরাচ্ছে। বট গাছের তলায় বসে সুমন তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা করছে। এক পর্যায়ে তৃতীয় বর্ষের একটা ছেলে বলে ওঠে,

“ভাই, কাল রাতে যে তিনটা মেয়ের ব্যাপারে কথা বলছিলেন তাদের কথা কিছু ভেবেছেন?”
সুমন ছেলেটির পানে তাকায়। দেখতে বেশ বোকাসোকা হলেও সে বোকা নয়। ছেলেটিকে দেখে তার রাগ হয়। এই মুহুর্তে সবার সামনে এমন কথা বলার কোনো দরকার ছিলো? সুমন শান্ত অথচ ধারালো দৃষ্টি তাক করে।৷
“মিরাজ, এটা আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। আমরা এই ব্যাপারে পরে কথা বলতে পারি।”
সুমনের কথায় মিরাজ নামক ছেলেটি তার দিকে তাকায়। ভ্রু কুঁচকায় সে। এই লোক কাল'ও বললো আজ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে তা না করে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। তবে সুমনের কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে কিছুই বলে না। এক কথায় মুখে কুলুপ লাগিয়ে বসে।
তাদের কথোপকথন শুনে উপস্থিত কিছুসংখ্যক লোক তাদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। একজন তো বলেই ফেলে,
“ভাই? মেয়ে মানে? আপনারা আবার কোন মেয়ে নিয়ে আলোচনা করছেন?”
সুমন কিছুটা হতবিহ্বল হয়ে তাকায়।
“না তেমন কিছু না। আমার তিন কাজিনের কথা বলছিলাম।”
বলার মাঝেই মিরাজের দিকে কটমট করে তাকায় সে। মিরাজ তখনও মুখে কুলুপ এঁটে বসা।
___________
উষ্ণ ক্লাসে ঢুকতেই শাওন এসে তাকে জড়িয়ে ধরে পিঠ চাপড়ায়।
“হেই ব্রো। ব্লাড ডোনেশন শেষ?”
উষ্ণ বিরক্তিমাখা মুখে শাওনের দিকে তাকায়।
“তুই মনে হয় জানিস না। কালই তো ডোনেট করলাম। শেষও কালই হয়েছে।”
শাওন হাসে।
“জানি ব্রো জানি। যাই হোক, কাকে ডোনেট করলি?”
“একটা মেয়ে কে।”
“সিরিয়াসলি? নাম কী রে?”
শাওনের এহেন কথাবার্তায় উষ্ণ মুখ দিয়ে 'চ' সূচক শব্দ বের করে।
“মেয়েটার নাম জেনে তুই কী করবি?”
শাওন আবারো হাসে। মুখটা নিষ্পাপ বানিয়ে বলে,
“কিউরিওসিটি ব্রো কিউরিওসিটি।”
উষ্ণ ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
“এতো কিউরিওসিটি ভালো না।”
উষ্ণ কিছু বলতেই যাবে কিন্তু তখনই একটা ছেলে এসে শাওন কে বলে,
“ভাই, আমাগো নেতা সুমন ভাইরে এক পোলায় হেই পিডানো পিডাইতেছে।”


Post a Comment

0 Comments

Close Menu