লেখিকাঃ তাবাসসুম কথা
বউ সেজে ওয়াশরুমে বসে আছি আর তুর্য কে ফোন করছি। এখনও ফোনটা নট রিচেবল দেখাচ্ছে। হাজার আকুতি মিনতি করেও বিয়েটা আটকাতে পারলাম না। আম্মুকে আমার চোখের সামনে মরতে দিবো কিভাবে আমি!! আম্মু নিজ হাতে আমাকে সাজিয়ে দিয়েছেন। একটাবার তুর্যর সাথে কথা না বলে মরতেও পারবো না। আম্মুকে কষ্ট দিতে পারবো না কিন্তু তুর্যকে ছাড়াও বাঁচতে পারবো না। একটাই পথ খোলা আছে আমার কাছে। এটাই ঠিক। অন্যকারো হওয়ার চেয়ে মৃত্যুকে আপন করে নেওয়া বেশি সহজ।
বাথরুমের দরজা খুলে সারা ঘর তল্লাশি করেও একটা ছুড়ি বা কাঁচ পেলাম না। হ্যাঁ গলায় ফাঁস দেওয়া যায়। যেই ভাবা সেই কাজ। একটা ওরনা নিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে গলায় পরার আগেই কেউ একজন থাপ্পর দিয়ে নিচে ফেলে দিলো।
মাথা উঁচু করতেই দেখি আব্বু আমার সামনে দাড়িয়ে আছেন। দরজা লক করতে ভুলে গিয়েছিলাম আমি। এখন আর তারা আমাকে মরতে দেবে না। সারাজীবন এভাবেই জীবন্ত লাশ হয়ে কাটাতে হবে আমার। আমি কি আর তুর্যর সাথে দেখা করতে পারবো না! প্রতি রাতে তুর্যর বুকে মাথা রেখে সুখ খোঁজা কি আমার আর হবে না!! এই কি আমাদের ভালোবাসার শেষ পরিণতি!! আমি সারাজীবনের জন্য তুর্যর অপরাধী হয়ে যাবো। তুর্য আমাকে ঘৃণা করবেন!!
বাবা আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার কোনো হেলদুল নেই। মনে হচ্ছে পাথর হয়ে গেছি। তাফসি আপুর বিয়ে হয়তো হয়ে গেছে এতোক্ষণে। একটু পর আমারো হয়ে যাবে। পা দুটো আর চলছে না আমার। আব্বু আমাকে গাড়িতে বসালেন। আম্মু আর হিয়ার সাথে বাইরে দাড়িয়ে কথা বলছেন। দুচোখে যেনো বর্ষণ হচ্ছে,, এই বর্ষণ কি আমার ভাগ্য ধুয়ে নিতে পারবে না!!
হঠাত গাড়ি চলতে শুরু করলো। আমার মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমি। কিন্তু পিছন থেকে আম্মুর চেচামেচি শোনা যাচ্ছে। মুখ ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখি গাড়িতে আমি একা। ড্রাইভার ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে। পিছনে আম্মু-আব্বুকে আর দেখা যাচ্ছে না। এখন আমার ভয় হচ্ছে। কে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে!!

ভাঙা ভাঙা গলায় ড্রাইভার কে ডেকে চলছে হীর। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে তার। এতোক্ষণ শুধু কষ্ট ছিল এখন সেখানে ভয় যোগ হয়েছে। ড্রাইভারের কাঁধে হাত রাখতেই চমকে উঠে হীর। ড্রাইভারের জায়গায় তুর্য বসে আছে, মুখে মুচকি হাসি নিয়ে। তুর্যকে দেখেই কেঁদে ফেলে হীর। হীরের কান্না সহ্য করতে না পেরে গাড়ি থামিয়ে হীরকে বুকে জরিয়ে নেয় তুর্য।
-- আপনি কোথায় ছিলেন? আমি কতো ফোন করেছি আপনাকে। আজকে আপনি না এলে আমার বিয়ে হয়ে যেতো। আমি আপনাকে ছাড়া নিস্ব সেটাকি আপনি জানেন না!! এভাবে ফেলে চলে গেলেন কিভাবে আমাকে??
-- পাগলি একটা! তোকে ছেড়ে যাওয়ার আগে যেনো মৃত্যু আমাকে আপন করে নেয়।
-- পাগল হলেন! এসব কেনো বলছেন? আপনার কিছু হবে না কখনও না। (কাঁদতে কাঁদতে)
-- এখনও কাঁদবি নাকি! নাক লাল হয়ে গেছে।
-- আজকে আপনি না এলে কি হতো! আমি মরে যেতাম।
-- এসব কথা আবার যদি বলিস না,, এক চড়ে সবগুলো দাঁত ফেলে দেবো। আর আমি না আসলে কে আসবে বল! আমার কলিজাকে আমার কাছে থেকে কেউ দূর করতে পারবে না।
-- আপনি জানলেন কিভাবে? আমি আপনাকে অনেক ফোন করেছি জানানোর জন্য। কিন্তু ফোন নট রিচেবল ছিল।
-- সকাল থেকেই ফোনটা খুঁজে পাই নি। এজন্য জানিও না তুই ফোন করেছিলি।
-- তাহলে কিভাবে জানলেন যে আমার বিয়ে?
-- আমার চাচা ওরফে শ্বশুড় বাবা বলেছেন। ইনফ্যাক্ট চাচ্চুই আমাকে এই আইডিয়া টা দিয়েছিলেন। তোকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার।
-- কি বলছেন! আব্বু! কিন্তু আব্বুই তো জোর করে আমাকে নিয়ে আসছিল।
-- তোকে ঘর থেকে বের না করলে আমি কিভাবে নিয়ে আসতাম??
-- আব্বু আপনার আর আমার সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন?
-- শুধু আমার শ্বশুড় বাবাই না তোর শ্বশুড় বাবাও মেনে নিয়েছে। শুধু শাশুড়ি দুইজন মানে নি। তবে তারাও মেনে নেবে আমার বিশ্বাস আছে। (হীরের নাক টেনে দিয়ে কথাটা বললো)
-- আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি তুর্য। যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক আমাকে নিজের থেকে দূর না করবেন প্লিজ।
-- কলিজা তোকে কলিজায় আটকে রাখবো।
হীরকে শক্ত করে বুকে জরিয়ে নিলো তুর্য।
।
।
।
।
।
।
এদিকে কমিউনিটি হলে কিশোরের পরিবারের সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছেন হাফসা বেগম। মেয়ের এই কাজে সবার সামনে লজ্জিত সে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা তমা বেগমের। সকালে তুর্যর মোবাইলটা সেই লুকিয়েছিল যাতে হীর কিছু জানাতে না পারে তুর্যকে। কিন্তু যা ভেবেছিল তা তো হলোই না। হলো এর উল্টো টা। তুর্য হীরকে নিয়ে ভেগে গেছে,, নিশ্চিত বিয়ে করেই ফিরবে। এতোকিছু করেও শেষ রক্ষা আর হলো না।
কিশোর যথেষ্ট ঠান্ডা মস্তিস্কের ছেলে হলেও বিয়ের দিন হবু বউয়ের পালিয়ে যাওয়া সে মানতে পারছে না। তার সম্মানে লেগেছে ব্যাপারটা। কিশোরের বাবা বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে কোনো কঠোর শব্দ প্রয়োগ করতে পারছে না কিন্তু সম্মানহানী তো তারও হয়েছে। পুরত বংশ জানে কিশোর বউ নিয়ে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু এখন বউ ছাড়া ফিরলে মুখ দেখাবে কিভাবে!
অনেক ভেবে চিন্তে কিশোরের বাবা কিশোরের সাথে হিয়ার বিয়ের প্রস্তাব দিলেন আকরাম সাহেবকে। এক মেয়ের বদলে অন্য মেয়েকে গছিয়ে দেওয়াটা আকরাম সাহেবের ভালো লাগে নি। কিন্তু কিশোরের বাবা নিজের ছেলেকে আর হিয়ার বাবাকে রাজি করিয়ে নিলেন। হিয়া যেহেতু আগে থেকেই কিশোরকে পছন্দ করতো তাই হাফসা বেগম আর দ্বিমত করলেন না।
না চাইতেও হিয়ার সাথে বিয়ের সম্পর্কে বাঁধা পরলো কিশোর। মনে একরাশ কষ্ট আর ক্ষোভ নিয়ে কবুল পড়ে হিয়াকে সম্মতি দিলো জীবনসঙ্গী হিসেবে। যদিও সে জানে মন থেকে হিয়াকে কখনই গ্রহণ করতে পারবে না।
হিয়া আর কিশোরের বিয়ে শেষ হওয়ার পর তাফসি-রায়ান আর হিয়া-কিশোরকে একই সাথে বিদায় করা হয়। যদিও হিয়ার মন বাসনা পূরণ হয়েছে কিন্তু এভাবে সেও চায় নি। কিশোর কি মন থেকে তাকে মানতে পারবে কখনও!!
পুরো পরিবারের মধ্যে একটা ঝড় বয়ে চলছে। কেউ কারো সাথে খোলা মেলা ভাবে কথা বলছে না কিন্তু ঝড়ের তীব্রতা টা বাইরে থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে। তমা বেগম জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। রাগে তার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। রুহি তার ন্যাকা কান্না জুরে দিয়েছে আর কাকলি রুহিকে সামাল দিচ্ছে।
একলা ঘরে বসে কাঁদছে হাফসা বেগম। নিজের কাজের জন্য সে অনুতপ্ত। এতোটা কঠোর না হলে হয়তো আজকে এতো অপমানিত হতে হতো না সবার সামনে। হীরের উপর অনেক জুলুম করে ফেলেছে সে। মা হয়ে মেয়ের কষ্ট টা বুঝতে পারে নি। তমা ভাবির কাছে বারবার অপমানিত হতে হতে নিজেকে পাথর বানিয়ে ফেলেছিল সে। তাই তো হীরের চোখের পানিও তার মন গলাতে পারে নি। কতো বড় অন্যায় করেছে সে। তুর্য দেশে ফিরে আসার পর থেকে বারবার তুর্যকে হীরের কাছে থেকে দুরে থাকতে বলেছে। তুর্য হীরকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে এটা জানার পরেও তাদের আলাদা করতে চেয়েছে। অনুশোচনায় দুচোখ বেয়ে অঝোড় ধারায় পানি পরছে হাফসার।


কিশোরদের বাড়িতে নতুন বউকে ঘরে তোলার আগেই বউকে নিয়ে কানাঘুসা শুরু হয়ে গেছে সবার মাঝে। যাকে বিয়ে করতে গিয়েছিল তার জায়গায় তার বড় বোনকে নিয়ে এসেছে। হিয়া দাড়িয়ে দাড়িয়ে সবার কথা শুনছে আর চোখের পানি ফেলছে। বিয়ের প্রথমদিন শ্বশুড় বাড়িতে তাকে এসব দেখতে হবে সেটা সে বুঝতে পারে নি। দুচোখ ভরে স্বপ্প সাজিয়ে মেয়েরা নিজের ঘর ছেড়ে স্বামীর ঘরে যায়। হিয়া হয়তো এই সুবর্ণ সময় টা পায় নি। কিন্তু স্বপ্ন দেখার অধিকার তো তারও আছে। সব মেয়েরা তো স্বামীর উপর ভরসা করে পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়। কিশোর কি সেই ভরসার হাত টা বারিয়ে দেবে হিয়ার দিকে!!
।
।
।
।
।
।
।
বধু বেশে বাইকে তুর্যর পিছনে বসে আছে হীর। রাতের অন্ধকারে দুটি মন হাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে উড়ে চলছে। পরিবারের সবাইকে কষ্ট দেওয়াতে হীরের মন কাঁদছে কিন্তু তুর্যকে পাওয়ার জন্য সব কষ্ট সহ্য করতে রাজি সে। কথাগুলো ভাবতেই তুর্যকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো হীর।
তুর্যকে জরিয়ে ধরেই চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম হঠাত বাইকটা থামলো মনে হলো। চোখ খুলে তাকাতেই ভয়ে বড়সরো একটা ঢোক গিললাম। আমাদের বাড়ির সামনে এসে থেমেছেন তুর্য। অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি তার দিকে। এখনি আবার আলাদা করে দেবে আমাদের।
-- কিরে বসে আছিস কেনো? নাম। ভিতরে যা।
-- কি বলছেন! বাসায় গেলে আবারো আলাদা করে দেবে আমাদের।
-- তুই আগে বাসায় চল। পরের টা পরে দেখা যাবে।
-- বিয়েটা করে ফিরলেই তো হতো তাই না। বিয়ে না করে ফিরে এলাম কেনো?
-- তোকে ভালোবেসেছি,, চুরি করি নি যে লুকিয়ে করতে হবে। সবার সম্মতি নিয়েই করবো বিয়ে।
-- আমাদের আম্মুরা হতি দেবে না বিয়ে।
-- আমি তো আছি। ভয় পাস কেনো?
-- হুম।
তুর্য আমার হাত ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলেন।

অনেকটা সংকোচ আর জরতা নিয়ে বাসর ঘরে বসে আছে হিয়া। ভয় হচ্ছে তার ভীষণ, না জানি কিশোর কি বলবেন। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে সে,, ঘুম পাচ্ছে কিন্তু কিশোর আসছে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কিশোর ঘরে এলো। কিন্তু হিয়ার সাথে কোনো প্রকার কথা না বলে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
হিয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ঘুমন্ত কিশোরের দিকে। লোকটা এতো পানসে এটা হিয়ার জানা ছিল না। বাসর রাতে এভাবে কোনো পুরুষ ঘুমাতে পারে এটা ভাবতেই হিয়ার রাগ হচ্ছে। ইচ্ছে হচ্ছে নিজের চুল নিজেই ছিড়ে। রাগ সংবরণ করে অপর পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পরলো হিয়া। ক্লান্তি থাকায় খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পরলো।
হিয়ার ঘুমিয়ে পরার কিছুক্ষণ পর কিশোর উঠে পরলো। হিয়ার ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে কিশোর। সে জানে যা কিছু হয়েছে তাতে হিয়ার কোনো দোষ নেই সব দোষ তুর্য আর হীরের। কিন্তু না চাইতেও এই মুহূর্তে হিয়াকেই অপরাধী মনে হচ্ছে তার। হিয়ার সাথে সে কোনো খারাপ ব্যবহার করতে চায় না। তাই আপাতত হিয়ার থেকে একটু দুরুত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়।
।
।
।
।
।
বাসায় সবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে তুর্য আর হীর। অপরাধীর ন্যায় তাদের নজর নিচে নেমে আছে। তমা বেগম তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তুর্য আর হীরের দিকে। আমজাদ সাহেব এগিয়ে এসে ঠাসস্ করে একটা চড় বসিয়ে দিলেন তুর্যর গালে। তুর্য হা করে তাকিয়ে আছে তার বাবার দিকে। এভাবে চড় মারার কারণ জানার আগ্রহ তার চোখে মুখে স্পষ্ট।
আমজাদ সাহেব আরেকবার চড় মারা জন্য হাত উঁচু করলে হীর তুর্যর সামনে এসে দাড়ায়। চাচার এই রূপ দেখে হীর ইতোমধ্যে কেঁদে ফেলেছে। তুর্য আরো অবাক হয়ে হীরের দিকে তাকিয়ে আছে।
-- চাচ্চু মারতে হলে আমাকে মারো ভাইয়াকে আর মেরো না। সব দোষ আমার। আমিই ভাইয়াকে বলেছিলাম আমাকে নিয়ে যেতে।
হীরের কথায় তুর্য, হীরের বাবা আর আমজাদ সাহেব নিজেদের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। আইডিয়াটা তাদের ছিল আর হীর সবার সামনে সব দোষ নিজের কাঁধে নিচ্ছে। আমজাদ সাহেব ইশারায় হীরকে চুপ থাকতে বলে কিন্তু ইশারা বুঝতে না পেরে হীর আবারো কান্না শুরু করে। এবার কান্না করতে করতে তমা বেগমের পায়ের উপর পরে যায় হীর।
-- আমাকে ক্ষমা করে দেও বড় চাচি। আমী জানি না কেনো তুমি আমাকে তুর্য ভাইয়ার জীবনে আসতে দিতে চাও না। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি ভাইয়াকে ভীষণ ভালোবাসি। আমার জীবনের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসি। আমি তোমার সব কথা মানবো। তুমি দেখে নিও তোমার মনের মতো হয়ে দেখাবো। আমি ভাইয়াকেও অনেক সুখী রাখবো চাচি। একটা সুযোগ দাও। একবার আমার উপর বিশ্বাস করেই দেখো। ছোট বেলায় যা হয়েছে সব ভুলে নতুন ভাবে সব শুরু করি আমরা। একটা সুযোগ দাও। আমরা যদি একা বিয়ে করতামও সুখী হতে পারতাম না। আমরা তোমার দোআ নিয়ে তোমাদের সাথে সুখী হতে চাই। একটা সুযোগ দাও।
তুর্য অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তমার পায়ে পরে থাকা হীরের দিকে। তার পুচকি যে এতোটা ম্যাচিউর হয়ে যাবে সে ভাবতেই পারে নি। খুশিও লাগছে আবার একই সাথে কষ্টও হচ্ছে হীরের মিনতি দেখে।
0 Comments