কবিঃ আশা রোজমেরি
ষোড়শী কন্যা নবন্যার স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে-
মুগ্ধ, মুগ্ধতায় চেয়ে থাকে ষোড়শীর অবয়ব জুড়ে।
এই বয়সের মেয়েরা যেনো এক অন্য রকম নেশা
দেখলেই নেশা ধরে যায়,
একদম জ্বলে পুড়ে যায় ভিতরটা।
ইচ্ছে করে সামনের গুটি কয়েক চুল আঙুলের ডগায় সরিয়ে দিতে,
যে চুল গুলো জ্বালাচ্ছে খুব আপন করে।
আর বেনী করা চুল গুলো সন্তর্পণে খুলে হাওয়ায় ছড়িয়ে দিতে,
এক হাতে আচমকা টানে কিছুটা নিজের সাথে মিলিয়ে নিতে।
জানি এ নেশার ছোঁয়া পেলে মাতাল হয়ে যাবো।ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ কিছু!!
তাই সব ইচ্ছেকে মনের মিনারে আবদ্ধ করে, চেয়ে থেকে ষোড়শীর মুখ পানে-
----আমি মুগ্ধ
নবন্যা লজ্জায় আড়ষ্ট
কি বলছে আমাকে যা তা!
মাথা নিচু করে বাড়ালো এক পা।
----শুনো, আমার নাম মুগ্ধ।প্লিজ তোমার নাম বলে যাও কন্যা
-----আমি নবন্যা।এবার আমাকে যেতে দিন
-----আগে বলো কথা বলবে প্রতিদিন
নবন্যা এক দৌড়ে প্রস্থান করলো খানিকটা পথ।
বুকের ভিতর নিশ্বাসের তুমুল উঠানামা চলছে।নিশ্বাস কি বন্ধ হয়ে যাবে?
অক্সিজন প্রয়োজন হবে!?
পেছন থেকে ভেসে এলো সেই কন্ঠস্বর
কাল খোঁপা করে এসো
কতো বেলী ফুলের মালা শুকালো তোমার অপেক্ষায়,
আমার বলতে না পারায়।
নবন্যা আর থামলো না
ছুটে গেলো বজ্রের গতিতে।
রাতে হলোনা ঘুম!
এ প্রথম অকারন নির্ঘুম জেগে থাকা,
এটাই বুঝি মনের মাঝে প্রথম প্রেমের দোলা!
মুগ্ধ,মুগ্ধতা নিয়ে দেখছে
নবন্যার চুলে আজ বেনী নেই,চুল খোঁপা করা,
এই আভাস কি তাহলে নবন্যার প্রেমে পরা!
----নবন্যা, তুমি যে অনন্যা। তোমার জন্য এনেছি প্রেমের বন্যা।আর এনেছি বেলীর মালা।
-----তাড়াতাড়ি করুন।বয়ে যাচ্ছে বেলা
শুরু হলো প্রেমের মৌসুম
বৃষ্টিস্নাত বর্ষায় কদম বিনিময়,
ঝুম বৃষ্টিতে বৃষ্টি বিলাস
শরতে দেখা শুভ্রতার নীলাকাশ।
শিউলির গন্ধ মাখা বাতাসে
ভালবাসা বাড়ে বুকের বা'পাশে!
কাশফুলের বনে গোধূলি সন্ধ্যা নামে
ফিরবে বলে নব প্রেমিক-প্রেমিকা পা বাড়ায়
কথা রাখে চিঠি লিখবে রাতে আকাশের খামে।।
তারপর রাতের আকাশ দেখা
তারাদের সাথে কথা বলা,
কিছু কথা পাঠায় ষোড়শী কন্যার নামে
তারাদের মনপিয়ন করে আকাশের খামে।
ষোড়শী কন্যা উত্তর পাঠায়
মুগ্ধ আনমনে বুঝে নেয় মনের মনিকোঠায়।
নবন্যার চলন এখন উথাল-পাতাল
পাখির ছানার মতো ছটফটানি মন,
মুগ্ধ রোজ সেই পথের বাকে,মুগ্ধতায় চেয়ে থাকে
দিনে দিনে ভালবাসা বাড়ে!!
0 Comments