Ad Code

তুমি আমার উপন্যাস

লেখিকাঃ তানজিল মীম

ফেসবুকে একটা মেয়েকে অসম্ভব ভালো লাগে নিশান্তের। তবে কখনো মেয়েটিকে দেখেনি নিশান্ত। ফেসবুকে মেয়েটির পোস্ট সাথে, সাহিত্যের গল্প লেখার প্রেমে পড়েছে সে। এক কথায় বলতে গেলে মেয়েটিকে না দেখেই মেয়েটির লেখা গল্প, গল্পে ব্যবহৃত ছন্দ, কাহিনীর প্রেমে পড়েছে। নিজের অজান্তেই কখন যে এই ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়ে গেল বুঝতেই পারে নি নিশান্ত। রোজ রাতে মেয়েটির সাথে টুকিটাকি চ্যাটিং আর গল্প পড়েই দিন কাটে তার যদিও মেয়েটি ওতোটা অনলাইন থাকে না। তারপরও অপেক্ষা করে সে,এই অপেক্ষাটাই বেশ লাগে নিশান্তের। কোনো মেয়েকে না দেখেই যে এতটা ভালোবেসে ফেলবে নিশান্ত এটা সে কখনো ভাবে নি। এরই মধ্যে একদিন ভার্সিটির লাইব্রেরিতে বসেছিল নিশান্ত মোবাইলে ফেসবুকের নিউজফিডটা দেখছিল আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। এমন সময় হুট করে একটা মেয়ে লাইব্রেরির দরজা সামনে এসে তার মুখের মাস্ক খুলে ভিতরে ঢুকলো আচমকা এমনটা হওয়াতে দুজনের চোখাচোখি হলো দুজনের। পরক্ষণেই রাতারাতি চোখ নামিয়ে নিলো নিশান্ত আর মেয়েটিও চোখ সরিয়ে এগিয়ে গেল লাইব্রেরির ভিতরে। অবনীতাকে ভিতরে ঢুকতে দেখে সবার থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটা টেবিলে মুখ লুকিয়ে একাউন্টিং পড়ছিল ইলা অবনীতাকে দেখেই বলে উঠল সে,

Facebook

' এই যে অবনীতা আমি এদিকে...
হুট করে ইলার কন্ঠ কানে আসতেই চারপাশে চোখ বুলালো অবনীতা। পরিশেষে চোখ পড়লো, তার পড়ুয়া বেস্টু ইলার দিকে পাক্কা আধ ঘন্টা যাবৎ খুঁজে চলেছিল সে ইলাকে। পর পর দু'বার পলক ফেলে এগিয়ে গেল অবনীতা ইলার দিকে। তারপর ওর পাশে থাকা চেয়ারটায় বসে নীরবে বলে উঠল,
' উফ অবশেষে পেলাম তোকে। এ তুই কি বই ছাড়া আর কিছু বুঝিস না তাও যদি গল্পের বই বা অন্য কোনো বই হতো বুঝতাম কিন্তু তুই এই হিসাব বিজ্ঞানের কি পড়িস বল তো? আমার তো এটা দেখলেই মাথা ঘুরায়।'
অবনীতার কথা শুনে ইলা হাল্কা হেঁসে বলে উঠল,
' যার যেটা ভালো লাগা বুঝলি।'
' অবশ্য এটা ঠিকই বলেছিস যার যেটা ভালো লাগা সবার আবার সবকিছু ভালো লাগে না।'
' হুম।'
' তা তোর আর কতক্ষণ লাগবে?'
' এই ধর এক ঘন্টা।'
ইলার কথা শুনে অবনীতা চোখ বড় বড় করে বললো,
' কি?'
অবনীতা 'কি' শব্দটা এতটাই জোরে শব্দ করে বললো যে আশেপাশের সবাই তার দিকে অবাক চোখে তাকালো। সবাইকে এভাবে তাকাতে দেখে লজ্জায় পড়লো অবনীতা আশেপাশে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে সবাইকে সরি বলে আবার তাকালো সে ইলার দিকে। তারপর বললো,
' এই সব তোর জন্য হয়েছে।'
' যা বাবা আমি কি করলাম।'
' তুই কি করলি মানে বলেই রেগেমেগে উঠে দাঁড়ালো অবনীতা তারপর ইলার দিকে তাকিয়ে বললো,
' তুই থাক তোর হিসাব নিয়ে আমি গেলাম।'
বলেই আবার হেঁটে বেরিয়ে গেল অবনীতা। অবনীতাকে রেগে যেতে দেখে ইলাও তাড়াতাড়ি নিজের ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিল। কারন সে বুঝতে পেরেছে অবনীতা খুব রেগে গেছে অবশ্য দোষটা তারই ছিল অবনীতার সাথে মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর আজ দু'দিন ধরেই যাবে যাবে বলে যেতে পারছিল না। আর আজ তো একদমই কথা দিয়েছিল ইলা আজ যাবেই। কিন্তু নিজের এই খামখেয়ালির কথার জন্যই রেগেমেগে বেরিয়ে গেল অবনীতা। ইলা এক দৌড়ে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে গেল লাইব্রেরির ভিতর থেকে। ইলা অবনীতা দুজনকেই বেশ কিছুক্ষন যাবৎ লক্ষ করছিল নিশান্ত। তবে আপাতত তাদের নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই তাঁর।'
পরেরদিন ভার্সিটিতে ভরা ভার্সিটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে নিশান্তকে প্রপোজ করছিল মিলি। মিলির এমন কাজে নিশান্তসহ আশেপাশের সবাই জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে রইলো ওদের দিকে। নিশান্ত আশেপাশে তাকিয়ে হাল্কা ধমকের স্বরে বললো,
' তোমাদের ক্লাস নেই এখানে দাঁড়িয়ে কি করছো ক্লাসে যাও সবাই।'
নিশান্তের কথা শুনে কেউ আর দাঁড়ালো না চটজলদি এগিয়ে গেল তাঁরা যার যার ক্লাসে। সবাই যেতেই নিশান্ত এগিয়ে গেল মিলির দিকে লজ্জায় প্রায় লাল হওয়া অবস্থা তাঁর। নিশান্ত মিলির দিকে কড়া নজরে তাকিয়ে কাট কাট গলায় বললো,
' পড়াশোনা নেই তাড়াতাড়ি ক্লাসে যাও নেক্সট টাইম এইসব উল্টো পাল্টা কাজ করলে সোজা পিন্সিপালকে বলে ভার্সিটি থেকে বের করে দিবো।'
নিশান্তের রাগ দেখে ভয়ে পালালো মিলি।
অন্যদিকে লাইব্রেরির করিডোর থেকে নিচের সবকিছুই দেখেছিল অবনীতা সে ভাবে নি নিচের ছেলেটি মেয়েটিকে রিজেক্ট করে দিবে। কারন মেয়েটি দেখতে যথেষ্ট সুন্দর। হয়তো ছেলেটির আগে থেকেই গার্লফ্রেন্ড আছে কথাটা ভেবেই লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকে একটা বই খুঁজতে লাগলো অবনীতা। সাহিত্যের বই ভিষন ভালো লাগে অবনীতা। অবনীতা বই খুঁজতে খুঁজতে একদম লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকে পরলো। এমন সময় লাইব্রেরির সামনে এসে কিছুটা উচ্চ স্বরে বলে উঠল সুমা নিশান্তের বন্ধু,
' কাজটা কিন্তু তুই একদমই ঠিক করিস নি নিশান্ত?''
সুমার কথা শুনে দাঁড়িয়ে পড়লো নিশান্ত লাইব্রেরির দরজার সামনে তারপর বললো,
' কোন কাজ?'
' এই যে মিলিকে রিজেক্ট করে এই নিয়ে কতগুলো মেয়েকে রিজেক্ট করেছিস হিসাব আছে তোর তাও কি না ফেসবুকের একজন অজানা লেখিকার জন্য।'
সুমার কথা শুনে নিশান্ত একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
' হুম।'
' তোর কি আমার কথাগুলো মজা মনে হচ্ছে? যাকে চিনিস না কোনোদিন দেখিস নি সামান্য তার গল্প পড়ে এত ভালো কি করে বাসলি তুই?'
সুমার কথার উওরে নিশান্ত বেশ আগ্রহের সাথে বললো,
' দেখ সবসময় যে মানুষের চেহারা দেখেই ভালোবাসতে হবে এমন কোনো কথা নেই,ভালোবাসা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে দেখেও আবার না দেখেও, শুধু তোকে এতটুকু বলবো অবন্তী কালো হোক বা ফর্সা আমি ওকেই ভালোবাসবো,আর বিয়ে করলে ওকেই করবো।'
' কিন্তু নিশান্ত এটা তো অসম্ভব।'
' আমি জানি অসম্ভব তারপরও আমি ওকেই ভালোবাসবো আর আমার ভালোবাসা সত্যি হলে আমি ঠিক ওকেই পাবো দেখেনিস।'
এতটুকু বলে তক্ষৎনাত লাইব্রেরির দরজা ত্যাগ করলো নিশান্ত। নিশান্তকে যেতে দেখে সুমা বেশ অবাক হয়ে বললো,
' এই ছেলে সত্যি পাগল হয়ে গেছে, মিস 'অবন্তী আহমেদ' কোথায় আছো তুমি আমার বন্ধু তোমাতে পাগল হয়ে গেছে। ভাগ্যিস তুমি সত্যি সত্যি আমার বন্ধু লাইফে আসতে।'
বলেই 'নিশান্ত দাঁড়া' বলতে বলতে এগিয়ে গেল সে।'
অন্যদিকে ওঁরা যেতেই লাইব্রেরির ভিতর থেকে বের হলো অবনীতা বেশ অবাক হয়েছে সে নিশান্ত আর সুমার কথা শুনে না দেখেই ভালোবেসে ফেললো এক্সস্ট্রেঞ্জ?'
______
আজ দু'দিন হলো অবন্তী গল্প দিচ্ছে না। এতে বেশ খারাপ লাগছে নিশান্তের। নিশান্ত বেশি কিছু না ভেবে মেসেজ করলো অবন্তীকে,
মেসেজ করার কিছুক্ষনের মধ্যেই রিপ্লাই মিললো নিশান্তের। নিশান্ত খুশি হয়ে পর পর কয়েকবার মেসেজ করে বললো,
' আপনি গল্প কেন দিচ্ছেন না লেখিকা ম্যাম?'
উওরে রিপ্লাই দিলো অবন্তী,
' একটু মন খারাপ ছিল তাই আর কি তবে চিন্তা করবেন না কাল থেকে দিবো।'
' ওহ।'
' হুম।'
এরপর থেকে প্রায় অবন্তীর সাথে কথা হয় নিশান্তের। তাদের সম্পর্ক আপনি থেকে তুমিতে চলে গেছে। তবে তুমিটা শুধুমাত্র নিশান্তই ব্যবহার করে। অনেক ভেবে দেখলো নিশান্ত এইবার সে তার মনের কথা বলে দিবে অবন্তীকে। যেই ভাবা সেই কাজ নিশান্ত অনেক ভেবে মেসেজ দিলো,
' তোমার সাথে আমার একটা কথা ছিল?'
মেসেজ দেওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই রিপ্লাই দিলো অবন্তী,
' হুম বলুন মিস্টার চকলেট বয়।'
অবন্তীর এবারের কথা শুনে নিশান্ত অস্থিরতার ভাব নিয়েই মেসেজ করলো,
' আই লাভ ইউ।'
নিশান্তের 'আই লাভ ইউ' শুনে অবন্তী বেশ অবাক হয়ে মেসেজ লিখলো,
' আপনি তো আমায় দেখেন নি?'
' ভালোবাসতে দেখার প্রয়োজন হয় না অনুভবের প্রয়োজন যেটা আমি তোমায় ক্ষণে ক্ষণে অনুভব করি।'
' আমি যদি দেখতে ভালো না হই?'
' তুমি দেখতে যেমনই হও না কেন তুমিও আমায় ভালোবাসলে আমি তোমায় বিয়ে করবো এটা কনফার্ম।'
ছেলেটির কথা শুনে বেশ অবাক অবন্তী।'
এরপর কেটে গেল পুরো ৭ দিন। এই সাতদিনের আর কোনো কথা হয় নি নিশান্ত আর অবন্তীর। নিশান্ত তো ভেবেই নিয়েছে অবন্তী আর কখনোই তাকে মেসেজের রিপ্লাই দিবে না।
প্রচন্ড মন খারাপ নিয়ে লাইব্রেরির একটা চেয়ারে বসে আজ আবার মেসেজ দিল নিশান্ত,
' তুমি কি রাগ করেছো?'
নট রিপ্লাই!
' তুমি কি আর আমার সাথে কথা বলবে না.
এবারও কিছু বললো না অবন্তী শুধু মেসেজ সিন করেই চলে যায় সে। অবন্তীকে চুপ থাকতে দেখে আর কিছু বললো না নিশান্ত চুপচাপ মন খারাপ করে বসে রইলো সে।
অন্যদিকে তার থেকে অল্প একটু দূরে বই হাতে বসে থাকা অবনীতা নিশান্তের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। অবনীতাকে হাসতে দেখে বললো নিশান্ত,
' তুমি হাসছো কেন?'
হুট করে নিশান্তের এমন কন্ঠ শুনে হকচকিয়ে উঠল অবনীতা। চটজলদি নিজের চোখের চশমাটা ঠিক করে বললো সে,
' না মানে একটা গল্প পড়ছিলাম খুব হাসি পাচ্ছিল তাই আর কি সরি।'
মেয়েটির কথা শুনে মেয়েটিকে ডাকলো নিশান্ত। নিশান্তের ডাক শুনে অবনীতাও এগিয়ে এলো তার দিকে। অবনীতাকে এগিয়ে আসতে দেখে বললো নিশান্ত,
' ক্লাস নেই।'
উওরে মাথা নাড়িয়ে বললো অবনীতা,
' হুম।'
' তাহলে ক্লাস রেখে এখানে কি করছো যাও ক্লাসে যাও?'
' জ্বী।'
বলেই গল্পের বইটা টেবিলের উপর রেখেই চলে গেল অবনীতা। আর নিশান্ত মন খারাপ নিয়েই বসে রইলো। অবনীতা লাইব্রেরির দরজা পর্যন্ত যেতেই আবার ঘুরে তাকালো নিশান্তের দিকে। তারপর মুচকি হেঁসে নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে কিছু একটা টাইপ করে বেরিয়ে গেল সে।'
' Let's meet ' অবন্তীর এমন মেসেজ দেখে নিমিষেই মন খারাপ গায়েব হয়ে গেল নিশান্তের সাথে উত্তেজিত হয়ে লিখলো সে,
' সত্যি, কবে কখন কোথায়?
এমন মেসেজ দেওয়ার পর এর পরিবর্তে অবন্তীর মেসেজ দেখে চরম অবাক হলো নিশান্ত। তবে বেশি কিছু ভাবলো না সে।'
_____
পরেরদিন...
রৌদ্রময়ী দুপুরের কড়া রোদ্দুরের আড়ালে ভার্সিটির পিছনের বড় বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। পড়নে তার সবুজ রঙের থ্রি-পিচ আর সাদা ওড়না গায়ে জড়ানো। খোলা চুলগুলো কোমড় পর্যন্ত মোড়ানো,দু'হাত ভর্তি সাদা কাঁচের চুড়ি, চোখে কাজল,মুখে হাল্কা মেকাপ সাথে ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক,ছিলকি চুলগুলো বাতাসে উড়ছে খুব মেয়েটি উল্টো দিক ফিরেই কারো জন্য অপেক্ষা করছে। পুরো ভার্সিটি প্রায় ফাঁকা, কারন এখন ছুটির সময়। এমন সময় সেখানে দৌড়ে এগিয়ে আসলো নিশান্ত কারন অবন্তী তাকে এখানে আসতে বলেছিল। হঠাৎই সামনে একটা মেয়েকে দেখে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল নিশান্ত। বুকের ভিতর ধুকপুকানি বেড়ে গেছে তক্ষৎনাত। নিশান্ত তার বুকে হাত রেখেই এগিয়ে গেল সামনে। চারিপাশে থমথমে বাতাস বইছে,,
কেউ যে তার দিকে এগিয়ে আসছে এটা বেশ বুঝতে পেরেছে অবন্তী। সেও বেশ অস্থিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ। এরই মধ্যে হঠাৎই কানে ভেসে আসলো তার কেউ ডেকে উঠলো তার নাম ধরে,
' অবন্তী।'
বেশ অস্থিরতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিশান্ত কিভাবে কি বলবে বুঝতে পারছে না সে। নিশান্তের ডাক শুনে পিছন ফিরে তাকালো অবন্তী। অবন্তীকে দেখে নিশান্ত অবাক হয়ে বললো,
' তুমি।'
উওরে মুচকি হাসলো অবন্তী কারন অবন্তী আর কেউ নয় আমাদের অবনীতা। অবন্তী মুচকি হেঁসেই বলে উঠল,
' হুম আমি মিস্টার চকলেট বয়।'
অবন্তীর এমন কথা শুনে নিশান্ত কি বলবে যেন ভুলে গেছে হুট করেই সে জড়িয়ে ধরলো অবন্তীকে তারপর বললো,
' তুমি অবন্তী আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না তার মানে তুমি আগে থেকেই সব জানতে।'
নিশান্তের কথা শুনে অবন্তীও জড়িয়ে ধরল নিশান্তকে তারপর বললো,
' ফেসবুকে ছবি দেখেছি কিনা।'
অবন্তীর কথা শুনে ঠোঁটে কামড় দিলো নিশান্ত। তবে কিছু বললো না। এই বিষয়টা তার একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল। নিশান্তকে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠল অবন্তী,
' ভালোবাসি আপনায় বিয়ে করবেন আমায়?'
অবন্তীর কথা শুনে অবন্তীকে ছেড়ে দিয়ে মুচকি হেঁসে বললো নিশান্ত,
' সত্যি?'
উওরে খুশি হয়ে মাথা নাড়ায় অবন্তী। অবন্তীর কথা শুনে ফট করেই কোলে তুলে নিয়ে ঘোরাতে শুরু করল নিশান্ত অবন্তীকে। নিশান্তের কাজে চরম অবাক হলো অবন্তী তারপর বললো,
' আরে৷ আরে কি করছেন পড়ে যাবো তো।'
উওরে কিছু বললো না নিশান্ত এক্সাইটিং এ পুরোই পাগল হয়ে গেছে নিশান্ত।'
কিছুক্ষন পর বলে উঠল অবন্তী,
' বাসায় কি যাবেন না আজ?'
' হুম যাবো তো রাইটার ম্যাম। আপনাকে বিয়ে করার ব্যবস্থা করতে হবে তো?'
উওরে লজ্জায় লাল হয়ে যায় অবন্তী তারপর বলে,
' আমায় এত ভালোবাসেন কেন আপনি?'
উওরে মুচকি হেঁসে এতটুকুই বললো নিশান্ত,
' কারন 'তুমি আমার উপ্যাস' প্রিয়দর্শিনী। বড্ড ভালোবাসি তোমায় কেন বাসি জানি না কিন্তু বাসি।'
উওরে মুচকি হেঁসে নিশান্তের হাত জড়িয়ে ধরে এগিয়ে গেল নিশান্ত আর অবন্তী। নতুন জীবনে পা রাখবে কি না?'
~ সমাপ্ত

ছোট গল্প
🍁

Post a Comment

0 Comments

Close Menu