Ad Code

অসমাপ্ত অনুভূতি পর্ব - ৮

লেখিকাঃ সাবিহা জান্নাত

 পর্বঃ ০৮

বিভোরের আম্মু তাদের দিকে ফিরে তাকাতেই সায়ন সমানে থেকে সরে দাঁড়ায়। শ্রুতিকে বউ সেজে বিভোরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই তিনি থমকে যান।‌ শ্রুতির দিকে তাকাতেই তার বুঝতে বাকী রইল না যে শ্রতি বিভোরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ....!
সবাই বিভোর এবং শ্রুতির বিয়ে করায় হতভম্ব হয়ে গেছে। বিভোরের দুইদিন পর বিয়ে অথচ সে শ্রুতি কে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে আসছে, সবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে। তারা ভাবতেও পারেনি তারা এরকম একটা কাজ করবে।
শ্রুতি সবার দিকে তাকাতে পারছে না ।সে ভয়ে মাথা নিচু করে আছে। বিভোর শক্ত করে শ্রুতির হাতটা ধরে রেখেছে।
কিছুসময় আগের ঘটনা
❤️Facebook
সকালে শ্রুতি কলেজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। চারিদিকে এতো কোলাহলের মাঝেও তার নিজেকে একাকিত্ব বোধ হচ্ছে। অদৃশ্য এক মায়া তাকে বার বার জানান দিচ্ছে সে কিছু একটা হারিয়ে ফেলছে। তার জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে বিভোর।
তিন বছর পূর্বের ঘটনা মনে পড়তেই শ্রুতির বিভোরের প্রতি একরাশ বিরক্তি ফুটে উঠে । শ্রুতি নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে সবকিছু সামলে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
আরে ইয়ার বোঝার চেষ্টা করছিস না কেন আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না। এনগেজমেন্টটা আম্মুর জোড়া জোড়িতে করতে হয়েছে। আমি আর এসব নিতে পারছি না। তোরা কিছু একটা কর...
বিভোর চিন্তিত গলায় তার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলে উঠে। বিভোর এবং তার বন্ধুরা একটা কফি শপে বসে আলোচনা করছে বিষয়টা নিয়ে।
~ তাহলে আমাদের কি করতে হবে তাই বল। আন্টিকে বলে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারি আমরা ( সায়ন )
~ নাহ্ আম্মু কে বুঝিয়ে লাভ নেই , তিনি বুঝবেন না । আমি যেভাবেই হোক শ্রুতিকে বিয়ে করতে চাই। তোরা কি ভাবে কি করবি তোরা জানিস ।
উপস্থিত তার সব বন্ধু-বান্ধবীরা বিভোরের কথা শুনে চমকায়।
~ শ্রুতিকে বিয়ে করবি মানে। শ্রুতি তোকে সহ্যই করতে পারে না। আর এই মুহূর্তে তোর এনগেজমেন্টটাও হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় শ্রুতি কখনোই রাজি হবে না তোকে বিয়ে করতে ( রিম্পি )
~ তোর মাথা ঠিক আছে ইয়ার। শ্রুতিকে বিয়ে করার কথা ভুলেও ভাবিস না। তুই যে ভুল টা করেছিস না তারপর শ্রুতি তোর সাথে থাকবে ভাবছিস কিভাবে এই কথাটা ( নিহান )
~ এটা কোনো ভাবেই পসিবল না। আমরা শ্রুতিকে রাজি করানো তো দূরের কথা তোর কথা শুনলে আমাদের সাথেও কখনো কোনো কথা বলবে না মেয়েটা ( সিনিয়া )
~ রাজি করাতে কে বলেছে। উঠিয়ে নিয়ে আসলেই তো হয়। তারপরে রাজি না হলে জোর করে বিয়ে করবো , এনাফ। যেভাবেই হোক শ্রুতিকে আমার বউ হিসেবে চাই। ইচ্ছেতে কিংবা তার অনিচ্ছেতে তাকেই আমার চাই ।
বিভোরের কথা শুনে ওরা সবাই থমকায় কিছু মুহুর্তের জন্য। জোর করে বিয়ে করবে মানে...!
~ জোর করলেই কি ওই মেয়েটা বিয়ে করতে রাজি হবে।আমরা না হয় কিডন্যাপ করে বিয়ের মন্ডব পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবো । কিন্তু বিয়েটা জোর করে হবে কি ?
তুই জানিস সবকিছুর শেষ দেখতে চায় মেয়েটা। মেয়েটাকে যদি মেরে কেটে ফেলাও হয় না তাহলে তোকে বিয়ে করতে রাজি হবে না ( সায়ন )
~ বোনের সাথে ছোট ভাই টাকেও উঠাতে হবে। ভাইয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য হলেও মেয়েটার আমায় বিয়ে করতে হবে। তোদের যেভাবে বলছি সেভাবে কাজ কর( বিভোর )
বিভোরের কথা মতো ওর বন্ধুরা শ্রুতিকে উঠাতে যায়। এবং ওর মেয়ে বান্ধবীরা এর সাথে বিয়ের মার্কেট করার জন্য যায়।
শ্রুতি ক্লাস শেষ করে সবেমাত্র ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছে রাস্তায়। রাস্তায় সায়ন এবং নিহান এর সাথে দেখা হতেই ওর সাথে টুকটাক কথা বলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে হাঁটতে হাঁটতে সায়ন এবং নিহান শ্রুতিকে তাদের গাড়ির কাছে নিয়ে যায়।
~ আএম সরি শ্রুতি। আমাদের মাফ করে দিও ( সায়ন )
সায়নের কথা শুনে শ্রুতি কিছুটা ভরকে যায়। সায়ন ভাইয়া হুটি করে এসব কথা বলছে কেন। শ্রুতি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিহান তার নাকে রুমাল ধরতেই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তারা দুজনে তাড়াতাড়ি করে শ্রুতিকে পাঁজর কোলে করে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। তপ্ত দুপুরের সময়ে আশেপাশে বেশি লোকজন না থাকায় তাদের কেউ শ্রুতিকে উঠিয়ে নিতে দেখতে পায় না।
শ্রুতির জ্ঞান ফিরতেই ও নিজেকে একটা ঘরে বিছানায় আবিষ্কার করে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে বিভোর এবং তার সব বন্ধু-বান্ধবীরা সেখানে উপস্থিত। শ্রুতি সবকিছু নিরব হয়ে দেখছে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছে না।সে এখানে কিভাবে এলো তার কিছুই মনে নেই।
বিভোর স্থীর দৃষ্টিতে সোফায় বসে রয়েছে। তার ফ্রেন্ডরা শ্রুতিকে সবটা সবটা বুঝিয়ে বলতেই শ্রুতির চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটে ওঠে।
তাকে অনেক বুঝিয়েও কোনো কাজ হয় না ।শ্রুতি তার কথায় অটল ।
~ আপনারা যেটা চাচ্ছেন সেটা কখনো হবে না ।আমি কখনোই তার মতো একটা মানুষকে বিয়ে করবো না। আমাকে এখানে থেকে যেতে দি‌ন। আমাকে আটকে রেখে কোন লাভ হবে না।
শ্রুতিকে অনেক বার বোঝানোর পর রাজি না হওয়ায় বিভোর রাগান্বিত হয়ে শ্রুতির কাছে যেতে নিলেই ওকে সায় এবং নিহান আটকে নেয়।
~ তুই যাস না ওর কাছে। আমরা ওকে বুঝিয়ে বলছি। তুই শান্ত হো। বিভোর বন্ধুদের কথায় শ্রুতির কাছে না গিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দরজা সজোরে ধাক্কা দিতেই শ্রুতি কেঁপে উঠে।মুখে তার ভয়ের ছাপ।
সে বিভোরের রাগ সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে। সে তাকে অনেক বার বোঝানোর পর ও রাজি না হওয়ায় যে বিভোর চুপ থাকবে না এটাই সে ভেবেছিল।আর হলো সেটাই। তাকে বিয়ে করার জন্য কিডন্যাপ করিয়েছে।
~ দেখ শ্রুতি আমাদের সবার কথা বোঝার চেষ্টা করো। বিভোর খুব ভালো ছেলে। আগে যেটা হয়েছে সেটা ভুলে যাও। বিভোর যেটা করেছে তার পিছনে নিশ্চয় কোনো কারন থাকবে । সেই জন্য হয়তো তিন বছর আগে সম্পর্কের ইতি টেনেছে।
আমাদের কথা না হয় বাদ দাও তুমি তো খুব ভালো করেই জানো বিভোরকে। ওরা কথায় রাজি হয়ে যাও ।বিয়েটা করে নাও, না হলে আমাদের আর করার কিছু নেই।
আমরা তোমাকে বিভোরের হাত থেকে বাঁচাতে পারবো না ।ও খুব রেগে আছে তোমার উপর। তোমাকে অনেক বার রিকোয়েস্ট করা সত্ত্বেও তুমি রাজি হওনি তাই জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে তোমাকে।
বিভোরের ফ্রেন্ডদের কথায় শ্রুতির অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না।সে বিভোর কে বিয়ে করতে নারাজ। সায়ন এবং নিহান শ্রুতিকে সাজানোর দায়িত্ব সিনিয়া এবং রিম্পি কে দিয়ে ওরা বাহিরে চলে যায়‌।
শ্রুতিকে সাজানোর জন্য জোর করতেই শ্রুতি সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সিনিয়া এবং রিম্পি শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ। জোর করে কখনো কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।
ওরা দুজনে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বিভোরের কানে কথাটা যেতেই বিভোর রাগান্বিত হয়ে ঘরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দেয়।
শ্রুতি বিছানায় গুটি মেরে বসে আছে। চোখের কোণে পানি জমে আছে আর ।মুখটা চুপসে গেছে।ভয়ে তার আত্মা উড়ে যাওয়ার উপক্রম।
বিভোর শ্রুতিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠে,,,
~ বেশি বাড়াবাড়ি করবে না তুমি। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলছি তোমাকে বিয়ে টা করবে আমাকে। আর যদি সোজা কথায় রাজি না হয় তাহলে আমার খারাপ রুপটা তোমাকে দেখাতে বাধ্য হবো।
বিভোরের কথায় শ্রুতি রাগী কন্ঠে চিৎকার করে বলে উঠে,,
~ আপনি যত কিছুই করেন না কেন আপনাকে আমি বিয়ে করবো না। আমার জীবন থাকতে আমি আমার কথায় অটল থাকবো।
শ্রুতির কথায় বিভোরের মাথায় রাগ চেপে যায়। চোখগুলো রক্তিম বর্ন ধারন করেছে। বিভোর শ্রুতির ঠোঁটে ঠোঁট রেখে গভীর কিস করে। শ্রুতি ছটফট করলেও জোরপূর্বক ভাবে তাকে শক্ত করে নিজের সাথে ধরে রাখে।প্রায় অনেকক্ষন পর তাঁকে ছেড়ে দেয় বিভোর ।
~ আমি কি করতে পারি এখন খুব ভালো করেই বুঝতে পারছো আশা করি। এটা তো ট্রেইলার ছিল এখনো কিন্তু অনেক কিছুই বাকি আছে। যে জেদ নিয়ে আমাকে রিজেক্ট করছো না সেই জেদ নিয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না।
বিভোরের বাজে কথার ইঙ্গিত শ্রুতির কানে ভেসে আসতেই সজোরে বিভোরের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় শ্রুতি।
বিভোর শ্রুতির আকস্মিক কাজে আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে যায়। ফোন থেকে কিছু একটা বের করে শ্রুতির সামনে ধরতেই শ্রুতি থমকে যায়।
সিফান বিভোরের ফ্রেন্ডদের সঙ্গে কি করছে। তার কোনো ক্ষতি করবে না তো বিভোরের ফ্রেন্ডরা।
শ্রুতির ধারনাই সঠিক প্রমাণ করে বিভোর বলে উঠে,,
~ তোমার ভাইকে বাঁচাতে চাও তো। যদি বাঁচাতে চাও তাহলে আমার কথাটা মেনে নাও ।আর যদি তুমি রাজি না থাকো তাহলে সিফান কে মেরে ফেলবো । তুমি আমার হবে না তাহলে তোমাকেও পূর্ণ থাকতে দিবো না আমি ।
বিভোরের কথায় শ্রুতি অস্ফুট কান্না শুরু করে দেয়। বিভোরের শার্টের চেপে ধরে কান্নারত কন্ঠে বলে উঠে,,,
~ আমার ভাইকে কিচ্ছু করবেন না আপনি। ওর কোনো ক্ষতি করবেন না বলেই কান্না শুরু করে অবিরাম।
বিভোর শ্রুতির চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে চুমু এঁকে দেয়। তৈরি হয়ে নাও বলেই বিভোর শ্রুতিকে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। শ্রুতি সেখানেই স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিছু সময়ের মধ্যে তাকে সাঁজানো হয়। তার সাজানো কমপ্লিট।সে বিছানায় চুপচাপ বসে আছে। জীবনের একটা বড় সিদ্ধান্ত বিভোর তার উপর চাপিয়ে দিয়েছে।
সচরাচর প্রত্যেক মেয়ের ই এই দিনের জন্য অনেক স্বপ্ন থাকে। বউ সাজবে, আনন্দ করবে , নাচবে , গাইবে। কিন্তু শ্রুতির সব স্বপ্ন নিমিষেই ধুলিসাৎ।
প্রিয় মানুষের সাথে বিয়ে হচ্ছে আজ তার কিন্তু সবারই অমতে।
কিছুক্ষণ পর বিভোর ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করেই শ্রুতির মায়াবী চেহারা দেখে তার চোখগুলো আটকে যায়।বউ সাজে শ্রুতি কে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। চোখ ফেরানো দায়।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিভোরের ফ্রেন্ডরা কাজী কে ডেকে তাদের বিয়েটা পড়িয়ে দেয়।
বর্তমান
🍁
অনেকক্ষন ধরে বিভোর শ্রুতিকে নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদেরকে ঘরে উঠাতে বিভোরের আম্মু নারাজ। তিনি প্রচন্ড রেগে আছেন কিন্তু সবার সামনে সেটা প্রমাণ করছে না।
বিভোরের বাবা অনেকক্ষণ যাবৎ তাদের কে দরজায় দাঁড়িয়ে রাখতেই তিনি প্রচণ্ডভাবে রেগে যান। রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলে উঠে,,,
~ওদের কে এভাবে দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছো কেন। বাসার ভিতরে নিয়ে আসো ছেলেমেয়ে গুলো কে ।
~ আমি ওদের কে কখনোই এই বাসায় তুলবো না। বিভোরের আম্মু তার স্বামীর কথায় গুরুত্ব না দিয়ে রেগে কথাটা বলেই সেই স্থান ত্যাগ করেন।
শ্রুতির চোখজোড়া ছলছল করছে। কিন্তু বিভোরের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। সে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে।
~ তিথি যাও ওদের কে বাহিরে দাঁড়িয়ে না রেখে ঘরে তুলে নাও।বিভোরের বাবার কথায় তার মেজ কাকি তাদের করে সসম্মানে ঘরে তুলে নেয়।
সোফায় গুটিসুটি মেরে বসে রয়েছে শ্রুতি। পাশেই তার দিদুন এবং বিভোরের বাবা। মেয়েটা অনেক ভয় পেয়ে আছে দেখেই তারা তাকে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সোহানা এবং সিফান অনেকক্ষণ ধরে শ্রুতির অপেক্ষায় রয়েছে। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল কিন্তু তার কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।শ্রুতির আম্মু রীতিমতো কান্নাকাটি করছে মেয়ের জন্য। শ্রুতির মামা, মামি, নানীমনি সবাই এসে গেছে তাদের বাসায়।
হঠাৎ বিভোরের বাবার কল আসতেই সিফান তার মাকে ফোন টা দেয়‌। সোহানা ফোনটা রিসিভ করতেই অপরপ্রান্ত থেকে বিভোরের বাবার কথা ভেসে আসে,,,
~ সোহানা এখনই আমাদের বাসায় আসো। দেরী করো না বেশি।
কথাটা শুনে তারা সবাই মিলে বিভোরের বাসার উদ্দেশ্যে চলে যায়। বাসার ভিতরে প্রবেশ করতেই শ্রুতিকে দেখেই তারা সবাই থমকে যায়।
~সোহানা বসো। আপনারা বসুন সবাই। বিভোরের বাবা তাদের উদ্দেশ্যে বলে উঠে কথাটা।
~ দেখ সোহানা ছেলেমেয়ে গুলো যেটা করেছে তাদের কাছে ভালো মনে হয়েছে বলেই হয়তো ...। ওরা যথেষ্ট বড় হয়েছে। নিজেদের জন্য ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছে। তুমি আর এই বিষয় নিয়ে রাগারাগি করো না।আমি ওদের কে মেনে নিয়েছি।
সোহানা চুপচাপ সবটা শুনছিল।রেগে থেকেও বিভোরের বাবার জন্য রাগটা প্রকাশ করেনি।শ্রুতি এমন কাজ করবে কারোর ই বিশ্বাস হচ্ছে না।বিভোর এমন কাজ করলেও শ্রুতি....
শ্রুতিকে অনেক ভয় পেয়ে থাকতে দেখে বিভোরের বাবা শ্রুতির কাছে গিয়ে হাত বুলিয়ে বলতে থাকে,,,
~ কি হয়েছে আম্মু। এমন মন খারাপ কেন। আমাকে নির্দ্বিধায় সবকিছু বলতে পারো‌। বিভোর কি তোমাকে জোর করেছে। কেননা আমার বিশ্বাস তুমি এমন কাজ করতে পারো না।
বিভোরের বাবার কথা শুনে শ্রুতি কিছু সময় চুপ থাকে। কয়েক বার জিজ্ঞেস করতেই সে নিম্নসুরে বলে উঠে,,
~ না। কেউ আমাকে জোর করে নি । আমি নিজ ইচ্ছায় তাকে বিয়ে করেছি‌।
কথাটা শ্রুতি বলতে না বলতেই তার আম্মু তার গালে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় ....!


Post a Comment

0 Comments

Close Menu