Ad Code

শ্যামকন্যার মায়াবী চোখ - পর্ব ৭

 লেখিকাঃ আবিদা সুলতানা

🚫🚫
কঠোরভাবে কপি করা নিষিদ্ধ। যাদের অতিরিক্ত রোমান্টিক গল্প পছন্দ, তাদের জন্য এই গল্প নয়। অনুগ্রহ করে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না। পুরো গল্প জুড়ে থাকবে ধোঁয়াশা, যা উদঘাটন করতে সত্যিকারের ধৈর্য প্রয়োজন। শুধুমাত্র রহস্যভেদে আগ্রহী পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত।
🚫🚫
- "প্লিজ, লেট মি গো... নো, নো, ডোন্ট, ডোন্ট ... ইফ ইউ লেট গো, আই'ল ডাই ফ্রম ফলিং অফ দিস বিল্ডিং। প্লিজ, পুল মি আপ। আই সোয়াইর, আই'ল নেভার লুক অ্যাট ইয়োর স্টাফ এগেইন! ফর্গিভ মি, মুগ্ধ ব্রো, প্লিজ।"
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহর, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত যা তার শান্ত এবং সার্বজনীন সৌন্দর্য দিয়ে বিখ্যাত। বর্তমানে ভ্যাঙ্কুভারের জুলাই মাসের এই সময়ে শহরের আকাশে সূর্যের সোনালী রশ্মি প্রায় সারাদিনই পরিবেশে আলোকিত করে রাখে, তবে এটি প্রায়শই উল্কির মতো মেঘে আচ্ছন্ন থাকে। সূর্যের তাপ শীতল সমুদ্রবাতাস দ্বারা কিছুটা প্রশমিত হয়, তথাপি তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে উষ্ণ থাকে। বৃষ্টির সম্ভাবনা সর্বদা বিদ্যমান, সুতরাং মাঝে মাঝে ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি ঝরে পড়ে, যা শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও জীবন্ত করে তোলে। এই সময়ের তাপমাত্রা অনেক সময় ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে, যা শহরের সবুজ সৌন্দর্যকে নরম করে তোলে এবং নাগরিক জীবনের একাধিক বাহ্যিক কার্যক্রমকে সহজ করে দেয়।
ভ্যাঙ্কুভারের নানান উঁচু উঁচু বিল্ডিংয়ের মাঝে একটি বিশাল উঁচু পঁয়ত্রিশ তলার ভবন যেটা আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন তবে আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক ঘটনা। ত্রিশ তালায় বেলকনি থেকে শহরের দৃশ্য দেখা যায়—দূরের পাহাড়, শহরের ছোট ছোট গাড়ি এবং অন্যান্য নানা দৃশ্য। কিন্তু আজ এই বেলকনিতে একটি মানুষ উল্টো ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। যার পরনে শুধু একটি থ্রি কুয়াটার প্যান্ট আছে। পুরো হাত-পা শীতল হয়ে ভয়ে জমে গিয়েছে। বারবার কান্না করতে করতে অনুরোধ করতে থাকে, তার পা ধরে রাখা হিং'স্র ব্যাক্তির নিকট।
কনির পা শক্তপোক্ত হাত দিয়ে ধরে উল্টো লটকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভিন্নদেশীয় এক অতিমাত্রায় সুদর্শন পুরুষ। ছয় ফুট উচ্চতার সুঠাম বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী পেশিবহুল বক্ষে ধারণ করেছে একটি কালো স্লিভলেস টপ। কালো রঙের শর্টস, যা হাঁটু পর্যন্ত এসে তার উন্মুক্ত সুগঠিত ফর্সা ধবধবে পায়ের সামান্য ক্ষুদ্র লোম কুপ দৃশ্যমান । শক্তপোক্ত এক হাত শর্টসের পকেটে গুজে আরেক হাত দিয়ে ধরে রেখেছে কনির এক সরু পা। মৃদু হাওয়ায় দৃশ্যমান ঢেউ খেলানো কালো চুল কপালের ওপর দোলায়িত হচ্ছে বারংবার। শক্তপোক্ত বাহুতে যেনো ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছানোর অপেক্ষায়। উজ্জ্বল গৌরবর্ণের মোহনীয় নেত্রমণিতে র'ক্তিমবর্ণ ধারণ করে তীব্র হিং'স্রতা ক্রমাগতভাবে প্রকাশ করছে। ধবধবে ফর্সা কপোল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা খোচা খোচা দাড়ি মুখাবয়বের তীক্ষ্ণ চোয়ালের সঙ্গে মিলিত হয়ে কঠোরতার আকৃতি নির্মিত করছে। আকর্ষণীয় শীর্ণ নাসিকা ফুলিয়ে তপ্ত নিশ্বাস ফেলে ক্রো'ধের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে । দাতে দাত চেপে হালকা বাদামি মসৃন ওষ্ঠদয় দৃঢ়ভাবে নিবৃত্ত রেখেছে। অতিরিক্ত রাগের ফলস্বরূপ ধবধবে ফর্সা মুখশ্রী লালবর্ণ ধারণ করেছে মুহুর্তের মধ্যেই । উন্মুক্ত ফর্সা হাতের শিরাগুলোর ওপর লোমকূপ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। র'ক্তচক্ষু নিক্ষেপ করে আছে সামনে উল্টো ঝুলে থাকা কনির দিকে, যে নিজের জীবন বাচাতে বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছে। অতিমাত্রায় সুদর্শন পুরুষ হওয়ায় তার এই ভ'য়ানক মুখমন্ডলকেও যেনো আরো মাত্রাতিরিক্ত সুদর্শন করে তুলছে।
দরজা ঠেলে হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করে ম্যাক্স। সামনে কনিকে এভাবে উল্টো ঝুলে থাকতে দেখে বিষ্ময়ে চোখ কপালে ম্যাক্সের। নিজের গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল ম্যাক্স। হাতের ড্রিংকস কেবলই মুখে তুলে নিয়েছিল। এমন সময় শব্দ করে ফোন বেজে উঠে। ম্যাক্সের গার্লফ্রেন্ড আনা সামনে এগিয়ে চু'ম্বন করার উদ্দেশ্যে ঠোঁট জোড়া মিলাতে যাবে, এমন সময় ম্যাক্স মুগ্ধের কল দেখে মুখে থাকা ড্রিংস সব শব্দ করে কেশে বের করে দেয়। সব আছড়ে গিয়ে পড়ে আনার ফর্সা মুখমণ্ডলজুড়ে। আনা রাগ করে উঠে বলে,
- "ইউ ইডিয়ট! গো টু হেল!"
বলেই রাগে নিজের মুখশ্রীতে হাত বুলাতে বুলাতে নিজেই চলে যায়। এদিকে ম্যাক্স অবাকের চরম সীমানায়। এত বছরে মুগ্ধ কখনো কল তো দূরের কথা, প্রয়োজন ছাড়া কথাও বলেনি। সেই মুগ্ধ কল দিয়েছে মানে "দাল মে কুছ কালা হে"। ম্যাক্স কি কিছু করেছে? ম্যাক্স ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিভ করলে মুগ্ধ কিছু না বলতে দিয়েই গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
- "যাস্ট ফাইভ মিনিটস, কাম টু দ্য ফ্ল্যাট রাইট নাও!!"
মুগ্ধের গম্ভীর কণ্ঠ শুনে ম্যাক্সের বুঝতে আর বাকি নেই, নির্ঘাত কিছু একটা ঘটেছে। ভাগ্যিস ফ্ল্যাটের কাছের ক্লাবটাতেই ছিলো ম্যাক্স। নয়তো আজ কপালে দুঃখ ছিলো। এক প্রহর সময় নষ্ট না করে সোজা দৌড় লাগায় ফ্ল্যাটের দিকে। এখানে আসার পর মুগ্ধের এই দু'জন বন্ধুই হয়েছে। যদিও বদমে'জাজি রা'গী মুগ্ধের প্রথমে ইন্টারেস্ট ছিলো না, তবে একসময় কনি আর ম্যাক্সের সাথে বন্ধুত্বটা হয়েই যায়। তিনজন এই ফ্ল্যাটে একসাথে থাকে। তবে মুগ্ধের থেকে একটু সেফ হয়ে চলে বাকি দু'জন, কারণ এতদিনে মুগ্ধের ক্রো'ধ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা তাদের হয়ে গিয়েছে। কখন কী করে ফেলবে, আর মুগ্ধের রা'গ উঠবে! কিন্তু আজ কি এমন করেছে কনি যে মুগ্ধের সপ্তম আকাশে রা'গ উঠেছে? ম্যাক্স বুকে হাত দিয়ে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে। এবার কি তাহলে ম্যাক্সকেও উল্টো ঝুলিয়ে রাখা হবে? কিন্তু ও কি করেছে? সেদিন মুগ্ধের একটা শার্ট পরে গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে গিয়েছিল, সেই জন্য তো নয়? দুনিয়ায় যত পা'পকর্ম করেছে সব মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ম্যাক্স বড় একটা ঢোক গিলে নিলো। মুগ্ধ ঘাড় ঘুরিয়ে হিং'স্র চোখে তাকায় ম্যাক্সের দিকে। দেখেই ম্যাক্সের বুক ছেঁত করে উঠে। মুগ্ধ খুবই কঠিন স্বরে শান্ত কিন্তু রা'গ মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
- "কাম হেয়ার!"
__________Threads
গ্রামের আকাশে সূর্য অস্তমিত হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই, তার পরশ রেখে গেছে মৃদু লাল আভা। সারা গ্রাম যেন নিস্তব্ধতার চাদরে ধীরে ধীরে মোড়ানো যাচ্ছে। গাছের পত্রপল্লবগুলো মৃদুমন্দ বায়ুর স্নিগ্ধ স্পর্শে ধীরে ধীরে দোল খাচ্ছে। দূরের পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ ক্ষীণ হয়ে আসছে, তাদেরও যেন দিনের ক্লান্তি অবশেষে গ্রাস করেছে। দূর থেকে ভেসে আসছে মসজিদের আজানের ধ্বনি, যা পুরো গ্রামের পরিবেশকে আরও স্নিগ্ধ ও পবিত্র করে তুলছে।
শাহারিয়াজ ভবনে আজ পুরোটা থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আছিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে, এখনও তা খোলা হয়নি। বাড়ির প্রত্যেকেই ডাকাডাকি করলেও দরজা খুলে দেয়নি। দরজা না খোলায় আরাফের মাথা একদম গরম হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে এসে পুরো ঘটনা মায়ের কাছে শুনেছে আরাফ। এরপর গিয়ে দরজা ধাক্কালেও আছিয়া দরজা খুলে দেয়নি। আরাফ ধৈর্য ধরে রাখতে পারছে না। রাগে তার চোখ লাল হয়ে গিয়েছে। নিজেকে এলোমেলো মনে হচ্ছে। নিজের অস্থিরতায় নিজেও না খেয়েই নিজের রুমে ঢুকে ধপ করে দরজা লাগিয়ে দেয় আরাফ। এদিকে নিসা বেগম এই দুই ছেলে-মেয়ের কান্ডে বিপদে পড়েছেন। সুহানা বেগম এসব দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন।
মোশারফ সাহেব তার কক্ষে বিছানায় বসে গভীর চিন্তায় মগ্ন। তিনি সাজ্জাদ সাহেবকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সাজ্জাদ কক্ষে প্রবেশ করতেই মোশারফ সাহেব দৃঢ়স্বরে বললেন,
-“এখানে বস।”
সাজ্জাদ তার পাশে বসতেই, মোশারফ সাহেব মুখ ফিরিয়ে বললেন,
-“মেয়েটাকে মে'রে ঠিক করেছিস? আমাদের বড়দের ঝামেলায় ছোটদের টানতে আগেই নিষেধ করেছি ।”
সাজ্জাদ সাহেব কঠোরভাবে জবাব দিল,
-“ভাই, ওই মেয়ে শ'ত্রু পরিবারের। আমার মেয়ে ওর সঙ্গে মিশবে, এটা কোনকালেই আমার পছন্দ ছিল না। আর আজ যা ঘটেছে, আছিয়ার মুখে ওই বাড়ির মেয়ের নাম শুনে আর সহ্য করতে পারিনি।”
মোশারফ সাহেব তার দিকে তাকিয়ে বললেন,
-“মুগ্ধ চলে যাওয়ার আগে একটাই কথা বলেছিল, আমাদের শত্রুতার মাঝে যেন ছোটদের কিছু না বলা হয়। মুগ্ধকে তো তুই আমার থেকেও বেশি মানিস। মুগ্ধর দেশে ফিরে আসার সময় হয়ে গিয়েছে। সে যখন শুনবে তুই তার ছোট বোনকে এমন কারণে মে'রেছিস, তখন কী করবে? মুগ্ধের ক্রো'ধ সম্পর্কে নিশ্চয়ই তোর ধারণা আছে? "
সাজ্জাদ সাহেব চুপচাপ রইল, চোখে চিন্তার ছাপ। মোশারফ সাহেব তার কাঁধে হাত রেখে বললেন,
-“কাল মেয়েটার কলেজে প্রথম দিন। বড় আদরের মেয়ে! এভাবে মে'রে ভালো করিসনি। যা, মেয়েকে গিয়ে মানিয়ে নে, আমি আর এই প্রসঙ্গ নিয়ে বাড়াবাড়ি চাই না।”
মুগ্ধের ক্রো'ধের কথা মনে করতেই সাজ্জাদ সাহেবের মনটা ভারী হয়ে গেল। মুগ্ধের রা'গ সবার জানা, ছোটবেলা থেকেই সে গোমড়া রা'গচটা স্বভাবের, তাই বন্ধুর সংখ্যাও সামান্য। মা'রামা'রি, ঝা'মেলায় জড়ানো ছিল তার দৈনন্দিন কাজ। কেও মতবিরোধ করলেই মে'রে র'ক্তাক্ত করা মুগ্ধের কাছে ধুলো উরানোর মতই। এর জন্য ভয়ে কেও মুগ্ধর সামনেই যেতো না। বড় হওয়ার সাথে সাথে মুগ্ধের ক্রোধের পরিমাণ বেরেছে দ্বিগুন। সে জন্যই পুরো পরিবার কিছুটা চিন্তিত মুগ্ধকে নিয়ে।
সাজ্জাদ সাহেব দ্রুত উঠে পড়লেন, মেয়ের রাগ ভাঙাতে সে এগিয়ে গেল। মোশারফ সাহেবের মুখে ক্ষীণ হাসি ফুটে উঠল, যা সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে গেল।
মোশারফ সাহেব তিন ভাই বোন। তন্মধ্যে মোশারফ সাহেব বড় ভাই, তার স্ত্রী সুহানা বেগম এবং তাদের একমাত্র সন্তান, আরবিন শাহারিয়াজ মুগ্ধ, যে কানাডায় পড়াশোনা করতে গিয়েছে। খুব শিগগিরী দেশে ফিরে আসবে মুগ্ধ। সাজ্জাদ সাহেব মেজো ভাই, তার স্ত্রী নিসা বেগম, তাদের বড় ছেলে আরাফ এবং ছোট মেয়ে আছিয়া। ছোট বোন তার স্বামীর সঙ্গে সুখী দাম্পত্যে জীবনযাপন করছেন। এবং মা, আম্বিয়া খাতুন, পরিবারের বৃক্ষের ছায়ার মতো একসূত্রে বাঁধা রেখেছেন।
--------Email
- "তুমি কি ভাবি কে কিছু বলবে? যদি না বলো, তবে এবার থেকে আমিই বলব বলে দিলাম। আমারো একটা সহ্যের সীমা আছে।"
- "কোন ভাবি?"
রোকেয়া বেগমের রা'গ আরো বেড়ে যায় এবং তিনি উত্তে'জিত হয়ে উত্তর দেন,
- "কোন ভাবি? সেই যে সবসময় আঁখির পেছনে লেগে থাকে, অ'পমান করার জন্য, আর আমাকে প্রতিনিয়ত অপদস্থ করার চেষ্টা করে! আমাকে যা বলার বলুক, কিন্তু মেয়েটাকে কেন সবসময় হেয় প্রতিপন্ন করে?"
- "আহা! তোমাদের মহিলাদের নিয়ে আরেক বিপদ! তিনি বাড়ির বড় বউ। একটু মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে পারো না তোমরা? সবসময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিচার করতে থাকো! আর ভাবি তো তেমন কিছু করেন না, শাসন করেন। যে শাসন করে, সে ভালোবাসেও বেশি। এখন এসব বাদ দিয়ে ঘুমাও, আমাকেও ঘুমাতে দাও!"
আজগর আলীর এই খামখেয়ালী কথা শুনে রোকেয়া বেগমের শরীর রা'গে থরথর করে কাঁপতে থাকে। চোখের কোনে জল এসে জমে, ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে তিনি বলেন,
- "হ্যাঁ, ভাবির কোনো ভুলই তো তোমাদের চোখে পড়ে না! আর তুমি!! তুমি তো এখনো ভাবিকে..."
আজগর আলী রাগান্বিত স্বরে রোকেয়া বেগমকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন,
- "আর একটা বাজে কথা বললে খারাপ হবে বলে দিলাম! দ্বিতীয়বার এসব কথা মুখেও আনবে না!"
এই বলে রাগে গিজগিজ করতে করতে তিনি উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে পড়েন। রোকেয়া বেগম অশ্রুসিক্ত নয়নে অস্পষ্ট স্বরে বলতে থাকেন,
- "ওর মাঝে আমি যেমন ওর বাবাকে দেখি, ঠিক তেমনি তুমিও যে ওর মাঝে ওর মা'কে দেখো, সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।"

Post a Comment

0 Comments

Close Menu